লেট দেয়ার বি লাইট
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
যখন কৃষ্ণগহ্বর ক্ষেপণাস্ত্রেরা বস্তুময় প্রাণের আবাস গণনাতীত নক্ষত্রমণ্ডলীকে অনস্তিত্বে লীন করেছিল, তিনি সাধনায় মগ্ন ছিলেন।
যখন সম্ভাব্য বিশ্বমণ্ডলের ক্রাল-রা সহসা বাস্তব অস্তিত্ত্বে উঠে এসে তাদের পুজাবেদিতে উৎসর্গ করল ব্রহ্মাণ্ডব্যপী শক্তিজীবদের, তিনি সে যুদ্ধে অস্ত্র ধরেননি।
যখন আন্ত:বিশ্ব গোষ্ঠীচেতনার অবসান ঘটল, তখনও তাঁর গণনায় ছেদ পড়েনি।
অবশেষে, দেশকালহীন মহাজীব চোখ তুলে তাকালেন তাঁকে ঘিরে থাকা অনন্তের দিকে। তার অস্তিত্ব ও ইতিহাস সবই লুপ্ত হয়েছে। তা কখনো ছিল না। অথবা হয়ত ছিল তাঁর স্বপ্নে, অথবা হয়ত ছিল বা থাকবে উভমুখী কালস্রোতের সুদূর বাম বা দক্ষিণ প্রান্তে, ইতিহাস কিংবা সম্ভাবনা হয়ে।
তিনি তা জানেন না। শুধু জানেন, আরো একবার ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। আবারও একবার, নতুনতর গবেষণার ফসল তাঁকে ফলাতে হবে বন্ধ্যা দেশকালে বুকে। হয়ত এ-যাত্রা সে আসবে। হয়ত এই চক্রের সমাপ্তির আগেই, তার হাতে ভার তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত বিশ্রাম হবে তাঁর।
সেই আশাটুকু নিয়ে তিনি আরো একবার উচ্চারণ করলেন সদ্যসৃষ্ট, উন্নততর মন্ত্রটি, “তমসো মা জ্যোতির্গময়। “
অলঙ্করণঃ শিমুল