১। -আমার টিচার না আমাকে খুব ভয় পায়। হোমটাস্ক না করলেও কিছু বলে না। তোর টিচার নাকি তোকে খুব বকে?
-হ্যাঁ বকে। কিন্তু তারপর সামনে এসে হাঁটু গেড়ে মাথা নিচু করে বসে। কখনও চার হাতপায়ে উবু হয়ে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে দেয়।
-সে কি রে? মাথা ঠেকিয়ে কী বলে?
-বলে, খাটের তলা থেকে বেরিয়ে আয়, আর বেশি বকব না।
২। টিউটরঃ বিদ্যুৎ কোথা থেকে আসে?
ছাত্রঃ মামাবাড়ি থেকে।
টিউটরঃ সে কি? কেন?
ছাত্রঃ কারেন্ট গেলেই বাবা বলে, শালা ফের কারেন্ট অফ করে দিয়েছে।
৩। উৎস উল্লেখ করে ‘বাড়ি’ শব্দের কয়েকটি পরিভাষা বল।
উত্তরঃ যে বাড়িতে খুব হাওয়া চলে তাকে হাউস বলে।
যে বাড়িতে নিয়মিত যাগযজ্ঞ হয় তাকে হোম বলে।
যে বাড়ির দেয়াল ছাদ ও মেঝেরও কান থাকে তাকে মকান বলে।
যে বাড়ির টাকা দিয়ে পেতে পেতে মানুষ ফ্ল্যাট হয়ে যায় তাকে ফ্ল্যাট বলে।
৪। ক্লাশ টিচার (প্রথমদিন ক্লাশে এসে ) যারা সি গ্রেড পেয়ে উঠেছ তাদের আমার ক্লাশে বসবার অধিকার নেই। তারা দাঁড়াও।
তিতু উঠে দাঁড়াল।
টিচারঃ তুমি সি পেয়ে পাশ করেছ! ছি ছি।
তিতুঃ না, মিস। আমি বি পেয়েছি।
টিচারঃ তাহলে?
তিতুঃ আপনি একলা একলা দাঁড়িয়ে আছেন, দেখে বিচ্ছিরি লাগছিল। তাই ভাবলাম…
৫। উড়তে পারে না এরকম সাতটি পাখির নাম লেখ।
উত্তরঃ উটপাখি, কিউই পাখি, আর মরা কাক, মরা শালিক, মরা শকুন, মরা সারস, মরা কোকিল
৬। প্রশ্নঃ একটি দেয়ালের এপাশ থেকে ওপাশে দেখা যাবে এমন একটি যন্ত্র প্রস্তুতির বিবরণ ও তার নাম লেখ।
উত্তরঃ প্রয়োজনীয় উপকরণঃ একটি হাতুড়ি ও একটি গজাল।
প্রস্তুত প্রণালীঃ দেয়ালে গজালটি ঠেকানো হল। হাতুড়ি দিয়ে তার পেছনে ঘা দেয়া হল যতক্ষণ না গজালটি দেয়ালে ঢুকে যায়। এইবার গজালটিকে টেনে বের করে নেয়া হলে সেই পথে চোখ রেখে দেয়ালের ওপারে দেখা যাবে।
নির্মিত যন্ত্রটির নাম ‘ফুটো’।
৭। -তোরমানের ছেলের নাম কী ছিল?
-সূর্যগুল।
-ঠিক করে বল।
-তাহলে অরুণগুল, ভাস্করগুল, সানগুল যা খুশি।
-কী আশ্চর্য! আসল নামটা বলতে কী হচ্ছে?
-বলতে বলবেন না, স্যার। বাবা বলেছে, টিউটরের বাপের নাম তুললে মেরে পাট করে দেবে।
৮। টিউটরঃ বলো দেখি, রাস্তায় একপাশে একথলি টাকা আর অন্যপাশে অনেক বিদ্যাবুদ্ধি রাখা আছে। তুমি কোনটা নেবে?
-ছাত্রঃ টাকা।
টিউটরঃ আমি হলে কিন্তু বিদ্যাবুদ্ধিটাই নেব। সেটাই ঠিক, তাই তো?
ছাত্রঃ ঠিক।
টিউটরঃ তাহলে তুমি ভুল বলেছ, তাই তো?
ছাত্রঃ না। আমিও ঠিক বলেছি।
টিউটরঃ কেন?
ছাত্রঃ বাহ্ রে, আপনিই তো বলেন, যার যা নেই তার সেটা আয়ত্ব করাটাই ঠিক কাজ।
৯। টিউটরঃ চাঁদের প্রথম পা রাখেন কোন মানুষ?
ছাত্রঃ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
টিউটরঃ মূর্খ। গাধা। কিচ্ছু জানে না। চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং।
ছাত্রঃ হুঁ। আচ্ছা স্যার, চাঁদে দ্বিতীয় পদক্ষেপটা কার?
টিউটরঃ বাজ অলড্রিন।
ছাত্রঃ আপনিও কিচ্ছু জানেন না। নীল আর্মস্ট্রং ল্যাংড়া ছিলেন নাকি? দ্বিতীয় পদক্ষেপটাও ওঁর।
১০। সান্তা আর বান্তা ক্লাস এইটে দশ নম্বর বার ফেল করেছে।
সান্তাঃ চল, সুইসাইড করি।
বান্তাঃ পাগল নাকি? তাহলে ফের জন্ম নিয়ে একদম নার্সারি থেকে পড়া শুরু করতে হবে। আমি ওতে নেই।