১। এটা আমার আপন ঠাকুমার গল্প। একবিন্দু বানিয়ে বলছি না। ঠাকুমা আর দাদু বুড়ো হয়ে বেজায় ভুলো হয়ে গিয়েছিল। একদিন দাদুকে ঠাকুমা বলল, “দোকান থেকে দুটো ডিম আর একটা পাঁউরুটি নিয়ে এস। লিখে নিয়ে যাও নাহলে ভুলে যাবে। দাদু একগাল হেসে বলল, ভুলব না গো, ভুলব না। ঠিক নিয়ে আসব। দুটো ডিম আর একটা পাঁউরুটি । এটা কেউ ভোলে?
আধঘন্টা বাদে দাদু ফিরে এল ছটা চকলেট আর এক বোতল ফিনাইল নিয়ে। দেখে ঠাকুমা মাড়ি খিঁচিয়ে বলে , দেখেছ, ঝাঁটা আনতে ভুলে গেছ তুমি। এত করে পইপই করে বলে দিলাম, তবু, একটা কিছু যদি মনে রাখতে পারে!
২। -আসুন স্যার। আমাদের এখানে তিনরকম কোয়ালিটির হিয়ারিং এইড পাবেন।
-হুম। দেখান দেখি।
-এই যে স্যার। দশ টাকা, হাজার টাকা আর দশ হাজার টাকা।
-আমি দশ টাকা দামেরটা নেব।
-বেশ। এই যে। কানে পরে নিন। এগুলো কিন্তু খুব ব্রাইট কালার হয় স্যার।
-এ কী? এ তো দুটো বড়োবড়ো গোল প্লাস্টিকের টুকরো! কোন গ্যাজট ট্যাজেট নেই তো! এ দিয়ে কীভাবে-
-রাস্তায় গিয়ে দেখুন স্যার। ওতেই ভালো কাজ হবে। আসলে দশটাকার মডেলে গ্যাজেট তো আর হবে না, কিন্তু কানে বস্তুটা দেখলেই দেখবেন লোকজন জোরে জোরে কথা বলছে আপনার সাথে। ওতেই ঠিক শুনতে পাবেন স্যার—
৩। দুই ট্রাক ড্রাইভার জদুঘরে গিয়ে মমি রুমে ঢুকেছেঃ
১মঃ কত ব্যান্ডেজ দেখেছিস? মাথা থেকে পা ওবধি চোট। হল কী করে?”
২য়ঃ সিম্পল। ট্রাক অ্যাক্সিডেন্ট।
১মঃ বুঝলি কী করে?
২য়ঃ একে তো এত চোট। তাছাড়া ট্রাক নাম্বারটাও লেখা আছে গায়ে—ঐ যে – BC 2165 ।
৪। এক বদ্ধকালা তালবুড়ো একবার একা একা ডাক্তারের কাছে এসে কান পরীক্ষা করিয়েছিল। একা এসেছে কেন জানতে চাইলে বলে দিনদশেক বাদে তার জন্মদিন। সেরে গেলে সেদিন বাড়ির লোকজনকে কানে শুনে তাক লাগিয়ে দেবে বলে লুকিয়ে লুকিয়ে কান সারাই করতে এসেছে। ডাক্তার তাকে একটা লেটেস্ট মডেলের বিলিতি হিয়ারিং এইড দিয়ে এইদিনই ১০০ শতাংশ শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে দেন। বুড়ো খুশি হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
“কী হল স্যার? নতুন কোন সমস্যা?”
“নাঃ। যন্তরটা ফেরৎ দিতে এলাম। রিফান্ড লাগবে না।”
“কোন ডিফেক্ট?”
“উঁহু। উকিলের ফি দিতে বেজায় খরচ হয়ে যাচ্ছে।”
“মানে?”
“মানে—বাড়িতে তো আর হিয়ারিং এড-এর কথা এখনো জানে না! সাত দিনে ছ’বার উইল বদলাতে হয়েছে হে উকিল ডেকে। ও যন্তর আমার আর চাই না।”