১।
রেস্তোরাঁয় বাবা ও ছেলে খেতে গেছে।
ছেলেঃ বাবা, মাছি খেতে কেমন?
বাবাঃ (লজ্জা পেয়ে) চোপ। লোকে শুনলে কী বলবে?
(খাওয়ার পর রাস্তায় বেরিয়ে)
বাবাঃ তখন অমন জোরে জোরে ও কথা জিজ্ঞেস করলি কেন?
ছেলেঃ তুমি ডালে চুমুক দিচ্ছিলে, ওর মধ্যে একটা মাছি ছিল তো!
২। খোকাঃ এস বাবা টস টস খেলি।
বাবাঃ বেশ। যদি হেড পড়ে?
খোকাঃ তাহলে আজ আমার ইস্কুল যাবার ছুটি আর বিকেলে ব্যাটম্যান দেখতে যাওয়া।
বাবাঃ হুম। আর টেল পড়লে?
খোকাঃ টেল পড়লে আবার টস।
৩। পাঁচুবাবুঃ (ঘরঘর করে অন্তিম শ্বাস নিতে নিতে) ওগো তুমি কোথায়?
বিনতাঃ এই তো আমি। মুখে একটু জল দেব?
পাঁচুবাবুঃ না না। দীনেশ, মিলি, আকুল, ওরা? ওরা এসেছে?
ছেলেমেয়েরাঃ এই তো বাবা! এই তো আমরা তোমার পাশে দাঁড়িয়ে আছি বাড়ির সবাই। দেখো দেখো!
পাঁচুবাবুঃ তাহলে ওঘরের আলোটা জ্বলছে কেন? পয়সা কি… আঁক!
৪। -স্যার, পরশু যে বইটা আমার থেকে নিলেন সেটা কবে ফেরৎ দেবেন?
-কেন এত তাড়া কীসের?
-না মানে বাবা ওটা মাণিককাকুর থেকে নিয়ে এসেছিলেন। মাণিককাকু ফেরৎ চাইছেন।
-ওহো মাণিক! তা তাকে বলিস বইটা আমি নিয়েছি। কদিন বাদে…
-না স্যার মাণিককাকু ওটা ওঁর অফিসের ম্যানেজারের টেবিল থেকে নিয়ে এসেছিলেন। ম্যানেজার বিদেশ থেকে ফিরে সেই নিয়ে তোলপাড় করছেন কিনা!
-হুম। মাণিক তো ম্যাকেঞ্জি হাউসে চাকরি করে। তা কোন ডিপার্টমেন্টে আছে জানিস?
– সেদিন নেমন্তন্ন খেতে এসে বলছিল সেলসে বদলি হয়েছে।
-হুম। তার মানে ওর বস হল সুরঞ্জন স্যান্যাল। যাঃ! ও বই আমি আর ফেরত দিচ্ছি না।
-অ্যাঁ? ও স্যার! সর্বনাশ হয়ে যাবে যে!
-সর্বনাশ? আর আমার কী অবস্থা হয়েছে বইটা গত ছ’মাস ধরে হারিয়ে সেটা ভেবেছিস?
-মা-মানে?
ওই সুরঞ্জন স্যান্যাল! মিষ্টি করে হেসে বইটা কাল দেব বলে নিয়ে গেল। তারপর আর পাত্তা নেই। চাইতেও পারছিলাম না। শ্বশুরমশাই বলে কথা!