প্রকল্প ভট্টাচার্যের আরো ছড়াঃ আবীরপুরুষ, প্রাণ ভরিয়ে্ , আজ জ্যোৎস্না রাতে, দুগ্গা দুগ্গা, রি-মেক ছড়া, মা দুর্গা, জোড়া ছড়া, বিদঘুটে–, চুরমুর, বিজ্ঞানী, কুলপিওয়ালা, পুজোর ছুটি
তাজমহল
প্রকল্প ভট্টাচার্য
শাজাহান কাল নিজের হাউসে তখত-এ-তাউসে বসে
দেখলেন, মহামন্ত্রী ঘাউস মায়ুস বদনে ফোঁসে!
‘কী খবর, মহামন্ত্রী, ঘটনা
ঘটেছে কি কিছু?’ ‘না, না জঁহাপনা!
ওসব বিরোধী দলের রটনা। মিছে আপনাকে দোষে।
আমার চিন্তা, শুধু কানাকড়ি পড়ে আছে রাজকোষে।’
শুনে সম্রাট তড়াক লাফিয়ে বললেন, ‘একি কথা!
কই, ইয়ারলি অ্যাকাউন্ট দেখি, কীসে খরচ অযথা!
মিলছে না কেন ডেবিট-ক্রেডিট?
অ্যাপ্রেইসালে করবই ঢিট।
এক্ষুনি করো অডিটর ফিট, কোরো নাকো অন্যথা!
মন্ত্রী বলেন, ‘গুস্তাকি মাফ, আমি লাগিয়েছি পতা।
এই না বলেই ঢাউস পিসিতে মাউস ক্লিকিয়ে ওমরাহ
দেখাল বিশাল এক্সেল শিট। দেখে জঁহাপনা গোমড়া।
‘হুজুর, সালের যাবত খাজনা,
(আদায় করা তো সহজ কাজ না,
কখনও ধমকি, কখনও বাজনা) খেয়ে গেছে প্রাণ ভোমরা!
হুজুর বলনে, ‘তাজমহলকে খিল্লি করছ তোমরা!
তবে লিখে রাখো সোনার জলেতে এই ইয়ার-এন্ড স্টেটমেন্ট,
তাজমহলটা লায়াবিলিটি না, রীতিমতো ইনভেস্টমেন্ট।
আজ ইয়া কল, নয়তো পরসো
ভবিষ্যতের ভারতবর্ষ
মহলকে কাজে লাগাবে ফর শো। টপ ফ্লোর থেকে বেসমেন্ট।
হাজার হাজার বছর রিটার্ন গ্যারান্টি, সেন্ট পার্সেন্ট!’
ছবি মৌসুমী