আগের পর্বগুলো
পত্র ৩২
পরদিন রামজীবনের নেতৃত্বে রাজার লোকলশকর গভর্নর হেস্টিংসের পেছনে ধাওয়া করল। তিনি চুনারগড়ে চলে গিয়েছিলেন। তাকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হয়ে তারা ফের রামনগরে ফিরে এল, আর সেখানে ক্যাপ্টেন মায়াফ্রের অধীনে এক বিরাট ইংরেজ বাহিনীকে আক্রমণ করল। শহরের চারপাশের সরু রাস্তা গলিঘুঁজি দিয়ে ঘেরা তার বাহিনী এসবে ভালো সড়গড় ছিল না। ফলে যা হল, চারপাশে শত্রুসৈন্যের পাল্লার মধ্যে পড়ে গেল ইংরেজ বাহিনী, বিশেষত একদল গুপ্ত বাহিনীর হাতে সবচেয়ে বেশি পর্যুদস্ত হল, ক্যাপ্টেন সহ দেড় শতাধিক সৈন্য যুদ্ধে ধরাশায়ী হল। এদের মধ্যে ক্যাপ্টেন ডোক্সাট, লেফটান্যান্ট স্টকার, সাইমস, স্কট ছাড়াও আরো আশিজন আহত হয়েছিলেন। দারুণ প্রতিরোধের পর, অবশেষে ক্যাপ্টেন ব্লেয়ার স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু পশ্চাদপসরণ করতে সক্ষম হলেন আর এতে তার খানিকটা হলেও মুখরক্ষা হল। তিনিই শত্রুর আগ্রাসী আক্রমণ প্রতিহত করেছিলেন; তার পেছু পেছু শত্রুসৈন্য প্রায় চুনার অবধি এসে গিয়েছিল, কিন্তু আর কোনো ক্ষতি হয়নি।
এই সাফল্য রাজা আর তার মিত্রদের উজ্জীবিত করল, অন্যদিকে গভর্নর হেস্টিংসকে নতুন সমস্যার মুখে ঠেলে দিল। রামনগরকে মূল ঘাঁটি করে রামজীবন, তার বাহিনী নিয়ে পাটিতা দুর্গের দিকে চললেন। (চুনার দুর্গের পূর্বে সাত মাইল দূরে পাটিতা দুর্গের অবস্থান ছিলঃ অনুবাদক) ওদিকে চুনার দুর্গের সেনাদলের থেকে বেশ কিছু সৈন্য একত্র করে মেজর পপহ্যামের নেতৃত্বে একটা দল পাঠানো হল পাটিতা দুর্গের দিকেই। ইতিমধ্যে ক্যাপ্টেন ব্লেয়ারকেও তার ব্যাটালিয়ান সহ দুই কম্পানি গোলন্দাজ পাঠানো হল আচমকা দুর্গে আঘাতের জন্য। ওদিকে নবাব আসফ উদ দৌলার প্রতিরক্ষাবাহিনীর ছ কম্পানি সেপাই নিয়ে এলাহাবাদ থেকে সদ্য আসা লেফটান্যান্ট পলহিলকে বলা হল নদীর অন্য পাড়ে ঘাঁটি গেড়ে থাকতে যাতে সেদিকে যোগাযোগটা উন্মুক্ত রাখা যায়। পৌঁছনোর দুদিনের মধ্যে এই উজ্জীবিত অফিসারেরা শিকর দুর্গে শত্রুসৈন্যের একটা বড়ো দলকে পরাস্ত করল। এখানে সৈন্যদলের অনেক পরিমানে শস্য লাভ হল, যেতা একটা বড়সড়ো সাফল্য, আর তার দরকারও ছিল খুব।
মেজর পপহ্যাম এবং ক্যাপ্টেন ব্লেয়ার পাটিতা দুর্গের এক মাইলের কাছাকাছি পৌঁছল প্রায় একই সময়ে; পৌঁছেই শত্রুসৈন্যের মুখোমুখি হল তারা। দুদিক থেকে মোকাবিলা করা হল শত্রুসৈন্যের, খুবই সাহসিকতা ও দুর্জয় মনোবলের সাথে। জয় সম্পর্কে যখন দুপক্ষই সন্দিহান, লেফটান্যান্ট ফ্যালো এবং লেফটান্যান্ট বিরেল এসে পড়লেন। এই দুজনের শৌর্য এবং সঙ্গের লোকেদের বীরত্ব, দেবীর কৃপা ও অকুন্ঠ আশির্বাদ, তাদের পরিশ্রমের পুরস্কার এনে দিল অচিরেই। ভয়ানক হত্যালীলার শেষে, দুপক্ষেই প্রচুর আহত ও নিহত হবার পর বিজিতরা পালিয়ে দুর্গে আশ্রয় নিল, আর জয়ী দল চুনার দুর্গে ফিরে গেল তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নেবার জন্য। এই গোলমালের মধ্যেই গভর্নর হেস্টিংস কর্নেল মরগ্যানকে কানপুরে একটি বার্তা পাঠালেন যাতে চুনারে যত শীঘ্র সম্ভব শক্তিবৃদ্ধির জন্য বাহিনী পাঠানো যায়। তিন রেজিমেন্ট তখুনি পাঠানো হল, যার মধ্যে দুই রেজিমেন্ট, মেজর ক্র্যাব এবং ক্রফোর্ডের অধীনে, যাতে এক কম্পানি গোলন্দাজ ইয়োরোপিয়ান পদাতিক সৈন্য ছিল। আর বাকি এক রেজিমেন্ট মেজর রবার্টের অধীনে, যিনি লখনউ হয়ে অগ্রসর হলেন। সেপ্টেম্বর মাসের দশ তারিখের মধ্যেই মেজর ক্র্যাব ও মেজর ক্রফোর্ড তাদের দলবল নিয়ে চুনারের কাছাকাছি নদীর অপর পাড়ে পৌঁছে গেলেন। পরদিন নবাব আসফ উদ দৌলাও এলেন এবং নদীর একই পাশে এসে শিবির লাগালেন। তার কিয়ৎকাল পরই মেজর রবার্টও লখনউ থেকে তার বাহিনী নিয়ে হাজির হলেন। ইংরাজ বাহিনী নদী পার হয়ে মেজর পপহ্যামের সাথে যোগ দিল। এখন তিনিই চারটি পূর্ন রেজিমেন্টের দায়িত্বভার নিলেন। এর মধ্যে কর্নেল ব্লেয়ারের এক ব্যাটালিয়ান, নবাবের প্রতিরক্ষা বাহিনী, দুই কম্পানি ইয়োরোপিয়ান পদাতিক সৈন্য– একটা গোলন্দাজ অপরটা সম্মুখযুদ্ধে পারদর্শী ফরাসি বাহিনী। এই সৈন্যবাহিনীর একটুকরো নিয়ে মেজর ক্র্যাব লতিফগড়ের উদ্দেশে রওনা হলেন। আরেকদল নিয়ে মেজর ক্রফোর্ড পাহাড় অতিক্রম করে শিখরগঞ্জ(!) ও লরার কাছে পৌঁছলেন, আর বাকি দু কম্পানি ক্যাপ্টেন বেকার ও লেফটান্যান্ট সিমসনের নেতৃত্বে পাটিটার দিকে চলল টুয়েলভ পাউন্ড কামান নিয়ে। দুর্গের উত্তর দিকে ঘন্টাখানেক গোলাবর্ষণে ভাল ফল পাবার পর এক হাকারদার এসে খবর দিল পুবপ্রান্তে একটা বড়ো পুকুর আছে যার পাড়ে মাটির ঢিবি গোলাবর্ষণের উপযুক্ত বলে গন্য করা যেতে পারে। পুকুরটা খুঁজে বার করা গেল, একেবারে তার সঠিক বিবরণ অনুযায়ীই, আর সাথে সাথে আরো কামান ও গোলাবারুদ সরাসরি পাঠানো হল সেদিকে। আমরা এবার আরো দ্বিগুণ উৎসাহে অবরোধ করে রইলাম লাগাতার টানা তিনদিন। চতুর্থদিন বিকেল তিনটে নাগাদ ক্যাপ্টেন বেকার ও গার্ডনার মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ করে চললেন যাতে শত্রুপক্ষ দিশাহারা হয়ে পড়ে, আর এর মধ্যেই ক্যাপ্টেন লেন লেফটানেন্ট সিমসন এবং উইলিয়ামের সাথে আমি আর তিন কম্পানি জাঁহাবাজ পদাতিক গোলন্দাজ দুর্গে ঝাঁপিয়ে পড়লাম, বিশৃঙ্খল শত্রুসৈন্য ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ল। খানিকটা প্রতিরোধের পর তাদের শক্ত ঘাঁটি ছেড়ে রামজীবনের নেতৃত্বে তারা সরে পড়ল লতিফগড়ের দিকে; ফেলে রেখে গেল সেনা রসদ, হাতি, উট, বলদ প্রভৃতি।
এই যুদ্ধে ক্যাপ্টেন বেকার বিশেষ পারদর্শীতা দেখালেন, তার শৌর্যবীর্যের সাথে মিশেছিল তার অনেকদিনের অভিজ্ঞতা।
স্মৃতির লহর তোমার গুণের আসনখানি পাতে
খ্যাতি তাহার সমাধিপরে স্বর্গীয় সংগীতে।
লতিফগড় যাবার পথে মেজর ক্র্যাব, রামজীবনের মুখোমুখি হলেন, যুদ্ধ হল, পরাজিত সৈন্যদল পালিয়ে প্রথমে লোরায় আশ্রয় নিতে পালিয়ে প্রথমে লোরায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হল, তারপরে বিজিগড়ের দিকে চলে গেল। সেখান থেকে চৈত সিং উধাও হয়ে গেলেন। রাজা বিজিগড়ে থাকা নিরাপদ মনে করলেন না, পালিয়ে পাহাড়ি মারাঠাদের মধ্যে আশ্রয় খুঁজলেন। সাথে করে হীরে জহরৎ নিয়ে গেলেন, যতটুকু উটের পিঠে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
পত্র ৩৩
ক্যাপ্টেন বেকার তার নিজের নিয়ন্ত্রণের সৈন্যবাহিনী নিয়ে রামনগর অভিমুখে চললেন। পরবর্তী নির্দেশ আসা অবধি উনি ওখানেই রইলেন; মেজর পপহ্যাম তার সৈন্যদল নিয়ে শত্রুসৈন্য ধাওয়া করে চুনার থেকে দক্ষিণ পূর্বে পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে বৈজগড়ে পৌঁছলেন। দুর্গটা একটা বড়ো পাথরের টিলার ওপরে অবস্থিত ছিল, চারপাশের সমতল থেকে সাতশ ফুট উঁচুতে। গানলিন (!) এর পরে ভারতে এটাকেই এটাকেই সবচেয়ে দুর্ভেদ্য দুর্গ মনে করা হত। গানলিন দুর্গ বিজেতার বিরুদ্ধে এই দুর্গ ততটা নিরাপদ নয় এমনটা ভেবে রাজা দুর্গ ছেড়ে গেলেন। ফেলে গেলেন সঙ্গে নিয়ে আসা তার অধিকাংশ সম্পদ, যা তার দুর্ভাগ্যেরও কারন বটে। তার পরিবারের মহিলাদের সামনেই এই সযত্নলালিত গৌরব ত্যাগ করে নিতান্ত দীনহীন অবস্থায় নিরাপত্তার আশ্রয় নিতে চললেন এমন মানুষদের কাছে যাদের নিজেদের নিরাপত্তারই ঠিকঠিকানা নেই।
রানিমা, অর্থাৎ রাজমাতা, রাজ পরিবারের বাকি স্ত্রীলোক এবং বলবন্ত সিং এর উত্তরাধিকারীরা, যারা তখনও রাজার সাথেই ছিলেন, তাদের সঙ্গে দুর্গেই রয়ে গেলেন। সঙ্গে রইল একটা ছোটো সেনাদল, সম্পদ ও তাদের নিরাপত্তার জন্য। মেজর পপহ্যাম যথেষ্ট বীরত্ব ও দৃঢ়তার সাথে একমাস ধরে নানাও বাধাবিঘ্ন প্রতিকূলতা সহ্য করে রইলেন এবং যখন হামলার জন্য তিনি যখন প্রায় প্রস্তুত, সেই সময়েই দুর্গ রক্ষার জন্য রানিমা আত্মসমর্পণ করলেন। তার পুত্র, অর্থাৎ রাজা চলে যাবার পর তার হাতেই ছিল ক্ষমতা এবং তার নির্দেশেই কাজকর্ম চলত। শর্ত রইল, ১৫ শতাংশ থাকবে তার অধিকারে, এছাড়া দেশের যেখানেই তিনি বা তার পুত্র থাকবেন সেই বাসস্থানে কোনো হামলা হবে না। একাধারে তাকে উপযুক্ত দেহরক্ষী ও সম্পূর্ণ নিরাপত্তার সাথে সীমানা অবধি পৌঁছে দিতে হবে।
বিজিগড়ের দখল করা সম্পত্তির বেশিরভাগ অংশ দখলকারীদের বিলিয়ে দেওয়া হল তাদের কাজের জন্য পুরস্কার হিসেবে। দুর্গ অবরোধের সময়েই মেজর পপহ্যামকে লেখা গভর্নরের একটি চিঠির এমন ব্যাখ্যা ছিল যে একাজে তার স্পষ্ট নির্দেশ ও অনুমতি আছে। এ কাজে অফিসারেরা এমন নৈপুণ্য দেখাল যে দুদিনের মধ্যে ভাড়াটে সৈন্য ও অফিসারদের নিজেদের ভাগবাঁটোয়ারা সেরে ফেলল। অতিরিক্ত সম্পদ নিচুতলার কম্পানিতে বন্টন হল। যুদ্ধের ক্লান্তির শেষে আনন্দ ও বন্ধুত্বপূর্ন আবহাওয়ায় মশগুল ছিল সকলে। অফিসার, ভাড়াটে সৈনিকের দল সকলেই ভুলে গেল এই সুখের সাথে সাথে যুদ্ধের বিপদের কথাটা ভুলে রইল। যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে অসন্তুষ্ট রাজা চৈত সিং, যখন বন্দি হলেন, গভর্নরকে চিঠি লিখলেন; তার দুর্দশা ও কষ্টের কথা তার ভাষাতেই সঠিক বর্ননা সম্ভব। তিনি লেখেন,
“করুণা করবেন আমায়, আমার পিতার সেবার কথা মনে রেখে এবং আমার কমবয়েস ও অনভিজ্ঞতা মনে রেখে, প্রার্থনা করি যে, আপনার যা খুশি শাস্তি আপনি নিজে হাতে আমায় দিন। আমি আপনার দাস, তাকে রক্ষী দিয়ে পাহারার কী প্রয়োজন? আপনার একক অধিকার, আমায় পুর্বপুরুষের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে রাখুন বা না রাখুন, কিন্তু আমার সাথে এরকম ব্যবহারের কী প্রয়োজন? যখন কিনা আমি আমার জীবন ও সম্পত্তি সকলই আপনার সেবায় নিয়োজিত করতে পারি!”
এরকম পরপর চিঠি লেখা হল একইরকম হুতাশ নিয়ে।
অন্য রাজারাজড়াদের সম্মোধিত করে প্রচারপুস্তিকায় রাজা লিখে রেখেছিলেন তার রাজত্বের অবস্থার কথা, সাধারণভাবে ভারতে রাজারাজড়াদের রাজত্ব সম্পর্কে যেমন ভাষায় যেমন লেখা থাকে, তেমন নয়, বরং দেশ ও দেশের মানুষের ভবিষ্যত সম্পর্কে একইসঙ্গে সুচারু বোধে প্রকাশ করা মতামত। যা আশপাশের রাজত্ব-এর অবস্থা থেকে সহজেই তাকে পৃথক করবে।
তার রাজত্ব শাসনের অবস্থার নজির নিয়ে তিনি লিখলেন,
“আমার দেশটার দিকে তাকাও, অন্য দেশের দিকেও। আলাদা লাগছে না কি? পার্থক্যগুলো ভালো করে নজর করো। প্রকৃতি যে সীমানা বেঁধে দিয়েছে তার বাইরে তাকাও। আমার জমি কর্ষিত, গ্রামে নাউষের বসতিপূর্ণ, আমার রাজত্ব একতা উদ্যানবিশেষ আর প্রজারা সুখী। আমার সম্পত্তির যে নিরাপত্তা আমি দিয়েছি, আমার রাজধানী সেকারনেই বনিকের অগ্রাধিকারের তালিকায় উঠে এসেছে, মোরাটো, জৈন, শিখ সকলের সম্পদই এখানে এসে জমা হয়, এমনকী দূর দূরান্ত প্রত্যন্ত পূবপ্রান্তের সীমানা থেকেও। বিধবা, অনাথ নিরঙ্কুশ তাদের সম্পত্তি লালন করে অত্যাচার কিম্বা অনাচারের ভয় ছাড়াই। পথিক তার বোঝা নামিয়ে নিশ্চিন্তে নিদ্রা যায় আমার রাজত্বের সীমানায়।
অন্যত্র দেখো। দুর্ভিক্ষ এবং দারিদ্র্য হাত ধরাধরি করে রয়েছে, সমতলভূমি অবহেলায় পড়ে আছে, গ্রামগুলি খাঁ খাঁ। বয়েসের ভারে ন্যুব্জ বৃদ্ধ দেখতে পাবে সেখানে। দুর্বিনীতের হাত থেকে তাদের মুক্তি নেই, পালাবার পথ নেই, অসহায়ের মতো দেখা আর সহ্য করা ছাড়া।
এখানে অজানা পথিককেও দয়া দেখান হয়, তার কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করা হয়, এমনকী দুর্বল মুটেরও বোঝা লাঘব করার জন্য তার বোঝা অন্য লোকে বয়ে দেয়, গ্রামে গ্রামে আমার দয়ালু প্রজারা।
যারা এদেশে ভ্রমণ করেন, আমি আমার কর্মচারি পাঠিয়ে খবর নিই, তাদের কী চাহিদা, সে অনুযায়ী আমার নিজ খরচে তাদের প্রয়োজনীয় সংস্থান ও যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়। এর সত্যতা তাদের থেকেই যাচাই করা যেতে পারে, এবং তাদের থেকেই জানা যেতে পারে আমার এবঙ্গ পার্শ্ববর্তী রাজ্যের তুল্যমূল্য অবস্থা সম্পর্কে।”
এমনটাই ছিল রাজার সুখী রাজত্ব, এবং মানুষজনের সহানুমর্মীতা, ভাগ্যের মারে যা অসহায় দুর্দশায় পর্যবসিত হয়েছিল।
ক্রমশ