জয়ঢাকের ধাঁধার বই
১। দেড়খানা মুরগি প্রতি দেড় দিনে দেড়খানা ডিম পাড়ে। তাহলে একটা মুরগি তিনদিনে কটা ডিম পাড়বে?
২। ঠাকুমা চলে গেলেন। তুলিকে তিনি একটা গয়নার বাক্স দিয়ে গিয়েছেন। তুলি বাক্স খুলে দেখে সেখানে চারটে ছোটো ছোটো সোনার শিকলি হার। একটা শিকলি হারে চারটে রিং, একটাতে পাঁচটা রিং একটায় ছটা রিং আর শেষেরটায় সাতটা রিং। দেখে তুলি ভাবল, আহা এই বাইশখানা রিংকেই যদি জুড়ে জুড়ে একটা হার বানানো যায় তাহলে তেমন হার আর ভূভারতে কারো কাছে থাকবে না। বাক্সটা নিয়ে স্যাকরার কাছে যেতে সব দেখেশুনে স্যাকরা বলে, কেটে জুড়তে রিংপ্রতি আড়াইশো টাকা খর্চা।
তুলিকে কত খর্চা দিতে হবে?
৩। তোমাদের দশ তলার ফ্ল্যাটে সব মিলিয়ে বত্রিশটা লাইট, ফ্যান এইসব আছে। বেসমেন্টে তোমাদের সার্কিট ব্রেকারের বোর্ডে তাদের প্রতিটার সুইচের জন্য জন্য একটা করে মোট বত্রিশটা সার্কিট ব্রেকার আছে। কিন্তু মুশকিল হল, কোন ব্রেকারটা তোমার ফ্ল্যাটের কোন সুইচের সেটা লেবেল করা নেই। মা তোমাকে বলেছেন তুমি আজ সারাদিন ধরে বেসমেন্টের ওই ব্রেকারগুলো আর ঘরের সুইচগুলো মিলিয়ে মিলিয়ে লেবেল করবে। লিফট খারাপ আর দুপুর থেকে তোমাদের বন্ধুদের অনলাইন গেম টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। কাজটা তাড়াতাড়ি শেষ করতে হলে তোমায় কমপক্ষে কতবার ওঠানামা করতে হবে?
৪। পিপি আর ছিপি দুজন পিঁপড়ে। তারা দুটো কাঠের টুকরোর এক কোণে বসে আছে। কাঠের টুকরোর অন্য কোণে মিছরি রয়েছে। তারা একই স্পিডে চলে। তারা দুজনেই সবচেয়ে কম দৈর্ঘ্যের রাস্তা বেয়ে মিছরি খেতে গেল। কে আগে পৌঁছুবে?
পঞ্চম ধাঁধা: হাসি ওপরের ধাঁধাগুলো দেখে বলল, “বাপ রে কী কঠিন।“ শুনে বেলা দিদিমণি বেজায় রেগে গিয়ে তার মুণ্ডুটা ছিঁড়ে গিলে ফেলে ভারী করুণ সুর বের করতে লাগল। শুনে চোখে জল আসে। কী করে হল?
ষষ্ঠ ধাঁধাঁ। খারাপ যে, সে সবসময়েই খারাপ। পেটে কু থাকলে খারাপ, না থাকলে খারাপ। একটা উদাহরণ দাও দেখি এর।
উত্তর
প্রথম ধাঁধা। দেড়খানা মুরগি দেড়দিনে দেড়খানা ডিম পাড়ে। তার মানে একখানা মুরগি দেড় দিনে একখানাই ডিম পাড়ে, তাই তো? তাহলে একখানা মুরগি তিনদিনে দুটো ডিম পাড়বে।
দ্বিতীয় ধাঁধা। ১০০০ টাকা।প্রথম হার-এর দুমাথার দুটো রিং খুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ রিং-এর একটা করে মাথার রিং-এ ঢুকিয়ে আটকাবে। আবার তৃতীয় হার-এর দুমাথার দুটো রিং খুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ রিং-এর অন্য মাথার রিং-এ ঢুকিয়ে আটকাবে। মোট চারটে রিং কাটতে হবে।
তৃতীয় ধাঁধাঁ। পাঁচবার ওঠানামা করলেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
প্রথমবার নীচে যাও। ষোলোটা সার্কিট ব্রেকার অফ করো। তাদের গায়ে লেখো ‘০’। বাকি ষোলোটা ব্রেকার অন থাকল। তাদের গায়ে লেখো ‘১।’ ফ্ল্যাটে ফিরে এসে যে ষোলোটা সুইচ কাজ করছে না তাদের গায়ে লেখো ‘০’। বাকিদের গায়ে লেখো ‘১।’
দ্বিতীয়বার নীচে যাও। ‘০’ লেখা ব্রেকারদের অর্ধেক অন করো। তাদের গায়ে ‘০’র পাশে লেখো ১। (হবে ০১) বাকি দের গায়ে হবে ‘০০’। ‘১’ লেখা ব্রেকারদের অর্ধেক অফ করো। তাদের গায়ে ‘১’র পাশে লেখো ০। (হবে ১০) বাকিদের গায়ে হবে ‘১১’। ফ্ল্যাটে ফিরে এসে যে আটটা ‘০’ লেখা সুইচ কাজ করছে না তাদের গায়ে লেখো ‘০০’। যে আটটা ‘০’ লেখা সুইচ কাজ করছে না তাদের গায়ে লেখো ‘০১’। যে আটটা ‘১’ লেখা সুইচ কাজ করছে না তাদের গায়ে লেখো ‘১০।’ যে আটটা ‘১’ লেখা সুইচ কাজ করছে না তাদের গায়ে লেখো ‘১০।’
দ্বিতীয়বার ওঠানামা করবার পর তুমি ব্রেকার আর ফ্ল্যাটের সুইচদের গায়ে এইটে পাবে:
00,0১,১০,১১ (প্রত্যেকটা লেবেল আটটা করে ব্রেকার আর আটটা করে সুইচের গায়ে।)
তৃতীয়বার ওঠানামা করবার পর তুমি পাবে
০০০, ০০১, ০১০,০১১, ১০০, ১০১, ১১০,১১১ (প্রত্যেকটা লেবেল চারটে করে সুইচ আর চারটে করে ব্রেকারের গায়ে)
চতুর্থবার ওঠানামা করবার পর তুমি পাবে
০০০০, ০০০১, ০০১০, ০০১১, ০১০০, ০১০১, ০১১০, ০১১১, ১০০০, ১০০১, ১০১০, ১০১১, ১১০০, ১১০১, ১১১০, ১১১১ (প্রত্যেকটা লেবেল দুটো করে সুইচ আর দুটো করে ব্রেকারের গায়ে)
পঞ্চমবার ওঠানামা করবার পর তুমি পাবে
০০০০০, ০০০০১, ০০০১০, ০০০১১ ,০০১০০, ০০১০১, ০০১১০, ০০১১১,০১০০০, ০১০০১, ০১০১০, ০১০১১, ০১১০০, ০১১০১,০১১১০, ০১১১১, ১০০০০, ১০০০১, ১০০১০, ১০০১১, ১০১০০, ১০১০১,১০১১০, ১০১১১, ১১০০০, ১১০০১, ১১০১০, ১১০১১, ১১১০০, ১১১০১, ১১১১০, ১১১১১
ব্যস। কাজ শেষ।
চতুর্থ ধাঁধাঁ
ছিপি আগে পৌঁছোবে। কাঠের টুকরোর গা বেয়ে সংক্ষিপ্ততম পথ বের করতে হলে তাদের চাপ দিয়ে চ্যাটা করে দেখ। ছবিটা এইরকম হবে। পিপিকে যেতে হবে = 6.7 সেমি। ছিপিকে যেতে হবে
= 6.4 সেমি
পঞ্চম ধাঁধাঁ
কারণ হাসির মুণ্ডু পেটে ঢুকিয়ে বেলা বেহালা হয়ে গেছিল।
ষষ্ঠ ধাঁধা
উদাহরণ: শকুনি. পেটে ‘কু’ থাকলে শকুনি। না থাকলে শনি।