অন্তিম অভিযান আগের পর্বগুলো
“কেন আপনি তিনটে দিন এভাবে দেরি করলেন কা পোন? ক্রিস মারা যাচ্ছিল। আমি একা ওকে নিয়ে এখানে…”
এলেনা নামের মেয়েটার মুখটা লাল হয়ে উঠেছে। কা পোনের মুখে এত দুশ্চিন্তার মধ্যেও একটুকরো হাসি ফুটে উঠল, “জিষ্ণুকে তুমি খুব ভালোবাসো, তাই না এলেনা?”
অপ্রত্যাশিত প্রশ্নটার সামনে ধরা পড়ে গিয়ে একটু অপ্রস্তুত হয়েই মাথা নামাল সে। পর্দায় টাইকোর সঙ্গে ইশারায় কিছু আলোচনা করতে করতেই জিষ্ণু হঠাৎ এদিকে তার দিকে ঘুরে তাকিয়েছে। ভারী লজ্জার বিষয়।
“প্রশ্নটা আমি অন্য কারণে আপনাকে করেছি কা পোন,” তাড়াতাড়ি কথা ঘোরাল এলেনা। আসলে সত্যি সত্যিই তার প্রশ্নটা করবার অন্য কারণ ছিল। জিষ্ণুর বিষয়টা মুখ ফসকে বের হয়ে এসেছে প্রায় নিজেরই অজান্তে।
“যতটুকু শুনেছি তাতে একমাত্র ক্রি… মানে জিষ্ণুই একাঘ্নীর নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার বিষয়ে ওয়াকিবহাল। এক্ষেত্রে গত তিনটে দিন তাকে এভাবে একা ফেলে রেখে আপনার অপেক্ষা করবার কারণটা আমি বুঝতে পারছি না কা পোন। আমাদের উচিত ছিল এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে অরুণাচলের দিকে এগিয়ে যাওয়া…সেখানে…”
“জিষ্ণুর মুখে যতটুকু তুমি জেনেছ তাতে তোমার মনে প্রশ্নটা জাগা স্বাভাবিক এলেনা। সেটা জিষ্ণুরও জেগে থাকতে পারে। তবে একটা বিষয় তোমাদের একজনও জান না। তা হল, মৃত্যুর আগে আমাকে প্রফেসরের লেখা চিঠিতে জানিয়ে যাওয়া একটা ছোট্ট কথা। একাঘ্নীর নির্মাণে একটা সমস্যা থেকে গিয়েছিল। জ্বালানীর সমস্যা। এই মিসাইলের বিস্ফোরক মহাশক্তিধর প্রতিবস্তু। কিন্তু মিসাইলের রকেট ফুয়েল প্রফেসরকে ওই অরণ্যের ভেষজ উপাদান থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছিল। উৎক্ষেপনের পর পৃথিবীর আয়নমণ্ডল অবধি পৌঁছোতে পারবে তা বড়োজোর। ফলে তাকে উৎক্ষেপণ করতে হবে সংঘাতমুহূর্তের ঠিক কয়েকমিনিট আগে।
“মহাকাশে লালপিওতের মত একজন সাঙ্ঘাতিক শত্রুকে জীবন্ত অবস্থায় রেখে আমি তাই তোমাদের কাছে পৌঁছে ওকে নিয়ে গন্তব্যের দিকে এতটা সময় আগে রওনা দেবার সাহস করিনি। সাহস করিনি নিজেকে সামনে আনবারও। একেবারে শেষ মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা আমাকে করতে হয়েছে এলেনা। এ ছাড়া তাই আমার আর কোনো উপায় ছিল না। তাকে ফাঁদ পেতে একেবারে শেষমুহূর্তে এখানে টেনে এনে ধ্বংস করেছি। ওর যুদ্ধযানের ধ্বংস হবার সঙ্কেত পাবার পর এবার সামনে আর কোনো বাধা রইল না। এখন আর দেরি নয়। সংঘাতমুহূর্ত আর মাত্রই এক ঘন্টা দূরে। আকাশের দিকে দেখ…”
“এক মিনিট কা পোন…”
হঠাৎ জিষ্ণুর কাঁপা কাঁপা গলাটা কা পোনের কথায় বাধা দিল। পর্দার দিকে চোখ রেখে তার দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হয়ে উঠেছে তখন।
“জিষ্ণু…”
“কেউ আসছে কা পোন। একটা ছোটো লাইফবোট।” পর্দার গায়ে দ্রুত নড়োতে থাকা একটা সবুজ বিন্দুর দিকে আঙুল দিয়ে ইশারা করছিল জিষ্ণু, “বিস্ফোরণের জায়গাটা ছেড়ে আবহমণ্ডলে ঝাঁপ দিয়েছে ওটা… ট্র্যাজেকটরি ক্যালকুলেশান দেখাচ্ছে ঠিক এগারো মিনিটের মাথায়…”
পর্দায় ছুটে আসা বিন্দুটার দিকে তাকিয়ে দ্রুত চিন্তা করছিলেন কা পোন। তাঁর ইশারায় তখন মাটি ছেড়ে সর্বোচ্চ ত্বরণে বাতাস বেয়ে ছুট দিয়েছে বিশ্বস্ত কার্তাং।
“যানের ম্যানুয়াল কন্ট্রোল রিলিজ করো টাইকো,” নিচুগলায় পর্দায় ভাসমান কুকুরের ছবিটাকে নির্দেশটা দিতে দিতে একটা দাঁতচাপা হাসি খেলে যাচ্ছিল কা পোনের মুখে, “ইউরোপার সমুদ্রের টারমক শিকারী কা পোন আজ আর একবার তার ভেলকি দেখাবে। একবার অরুণাচলের জঙ্গল এলাকায় ঢোকবার অপেক্ষা…তারপর…”
***
তীব্র ঘর্ষণে তাদের চারপাশে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছে আয়নীভূত বাতাস। সামনের পর্দায় ক্রস ওয়্যারে স্থির হয়ে আছে যশপাল ইনস্টিটিউটের মহাকাশবন্দরের টারম্যাকে স্থির হয়ে থাকা অজানা যানটা।
“আর কয়েক সেকেন্ড! তারপর… দাঁতে দাঁত চেপে বিড়বিড় করছিলেন লালপিওতে। রেট্রো রকেটের ধাক্কায় তখন দ্রুত কমে আসছিল মাটির দিকে ধেয়ে যাওয়া ভেলার গতি…
…আর তারপর হঠাৎ, আসুরিক শক্তিতে ছুটন্ত যানের চাপকে উপেক্ষা করে টলতে টলতে আসন থেকে সরে এলেন তিনি। কথা বলবার সময় ছিল না। তাঁর হাতদুটো পাইলটের আসনে বসা সামিরাকে বাতাসে তুলে ছুঁড়ে ফেলেছে পেছনদিকে। আছড়ে পড়ে খাবি খেতে থাকা মেয়েটার দিকে চোখ না দিয়ে কোনমতে সরে এলেন তিনি পাইলটের আসনে। হঠাৎ ক্রসওয়্যারের কেন্দ্রবিন্দু থেকে সরে গিয়েছে লক্ষ্যবস্তু। অকল্পনীয় ত্বরণ নিয়ে তা ছুটে চলেছে সটান পুবের দিকে।
একটা অজানা ভয় হঠাৎ ছেয়ে ফেলছিল লালপিওতেকে। অঙ্কটা মিলছে না কেন? কার যান ওটা? মিসিয়ারিকে ধ্বংস করে, যশপাল ইনস্টিটিউটের বুকে কেন নেমে এল তা?তার আগে, ওখানে কাকে সঙ্কেত পাঠাচ্ছিল সে?
ও পুবের দিক লক্ষ করে ছুটছে… ওদিকেই তো প্রফেসর বোসের…
একেবারে শেষমুহূর্তে এসে কোনো অজানা তাস খেলেনি তো ওরা? কিন্তু এই ‘ওরা’ কারা হতে পারে? প্রফেসর বোসের ছেলে তো…নাঃ তা হতে পারে না। সে তো ইনস্টিটিউটের বাকি সদস্যদের সঙ্গেই জালালের আত্মঘাতী আক্রমণে…
যানের গতিমুখ ঘুরিয়ে নিয়ে পালাতে থাকা যানটাকে লক্ষ করে নতুন যাত্রাপথের ইশারাগুলো করতে করতে নিজের মনেই বিড়বিড় করছিলেন লালপিওতে, “যে-ই হোস তুই…আমি তোকে ওখানে কিছুতেই…”
***
অকল্পনীয় বেগে ছুটতে ছুটতেই আকাশের গায়ে বিচিত্র কিছু নকশা গড়ে এলোমেলো উড়ছিল কার্তাং। পদ্ধতিটা পুরোনো। পিছু নেয়া উন্নতমানের সরকারী পুলিশযানের আক্রমণের হাত থেকে নিজদের বাঁচানো কা পোনের পেশায় একটা প্রধান শিক্ষা। সেটা এখন এই শেষমুহূর্তের দৌড়বাজিতে কাজে আসছে। কার্তাং-এর নীচে, মেঘের ফাঁক দিয়ে এইবার অরুণাচলের আদিম বনাঞ্চল দেখা দিচ্ছিল।
“লক্ষ্যবস্তুর তিন মাইলের মধ্যে এসে পৌঁছোবার আর ঠিক এক মিনিট বাকি,” টাইকোর গলার শব্দটা শুনে হঠাৎ জিষ্ণুদের দিকে মুখ ঘোরালো কা পোন, “তৈরি হও। পেছনের ক্যাবিনেটে এক জোড়া করে ফ্রগ লিপার পাবে। সম্পূর্ণ অটোমেটেড। জাঙ্গল ওয়ারফেয়ারে ঘন্টায় ষাট কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে লাফ দিয়ে এগোতে পারে।” বলতে বলতেই পেছন থেকে লাফিয়ে আসা আরো একটা লেজার আক্রমণের লাল আলোর রেখাকে বোকা বানিয়ে হঠাৎ ইঞ্জিন বন্ধ করে খাড়া নীচের দিকে নেমে যাচ্ছিলেন কা পোন।
“কিন্তু…আমরা দুজন…”
“ফ্রগ লিপারের ডিরেকশন ফাইন্ডারে একাঘ্নীর লোকেশন কোডেড আছে। ও যন্ত্রই তোমাদের ঠিক জায়গায় পৌঁছে দেবে। মূল পাহাড়ে পৌঁছোবার আগে নদীর জলে নামবার সময় ওদের খুলো না। যন্ত্রগুলো উভচর। শুধু, জঙ্গলের আড়াল থেকে ফাঁকা জায়গায় এস না। আমি যান নিয়ে ওদের ফায়ারপাওয়ারকে অন্যদিকে সরিয়ে রাখছি।”
পায়ের নীচে অরণ্যের মাথা দ্রুত উঠে আসছিল তাদের। শরীরে ফ্রগ লিপারের বেল্টগুলো আটকে নিতে নিতেই একনজর কা পোনের দিকে ঝাপসা চোখে চেয়ে দেখল জিষ্ণু। এত সহজে একটা মানুষ নিজেকে সাক্ষাত মৃত্যুর মুখে টোপ বানিয়ে জীবনকে নিয়ে খেলতে পারে?
“জিষ্ণু, এলেনা…রেডি…”
নিম্নমুখী যাত্রার শেষবিন্দুতে পৌঁছে দুটো বিরাট গাছের ফাঁকে একপলকের জন্য স্থির হয়ে গেল কার্তাং। আর পরের মুহূর্তেই গতি বাড়িয়ে একটা পাখির মত উড়ে গেল সটান পুবের দিকে…
পায়ের তলায় খুলে যাওয়া হ্যাচ বেয়ে বাতাসে বেরিয়ে এসে প্রায় চল্লিশ ফুট
নীচের মাটির দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল দুটো শরীর। তাদের শরীরের সঙ্গে বাঁধা ফ্রগ লিপারের সেন্সর আসন্ন অবতরণের আভাস পেয়ে শরীরদুটোকে ঘুরিয়ে সোজা করে নিল এবার। তারপর ছোটো ছোটো রকেটের নিখুঁত হিসেবি ধাক্কায় পতনের বেগ কমিয়ে আনল…
মাটি ছোঁবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ফের বাতাসে লাফ দিয়ে উঠল তারা। জেগে উঠেছে ফ্রগ লিপারের প্রোগ্রাম। তার অতিকায় যান্ত্রিক পাগুলো নিজেদের দৈর্ঘ্যকে বাড়িয়ে কমিয়ে বড়ো বড়ো লাফে অরণ্যের আড়াল দিয়ে তখন ছুটে চলেছে সামনের দিকে।
জিষ্ণুর চোখ ফের একবার ঝাপসা হয়ে আসছিল। এই অরণ্য তার বড়ো চেনা। তাদের আশ্রয়দাতা সরল আদিবাসী মানুষগুলোর সঙ্গে কত দিনরাতই তো সে খেলে বেরিয়েছে এখানে। এর প্রতিটি গাছ, পাতা, পশুপাখি তার বড়ো আপনজন…
***
মৃদু একটা হাসি খেলে গেল লালপিওতের মুখে। যানটা সম্ভবত, তাঁর আক্রমণের থেকে বাঁচা অসম্ভব জেনে মাটির দিকে ছুটেছিল। অবতরণ করলে অবশ্য তাঁর সুবিধা হত। একুশজন প্রশিক্ষিত কম্যান্ডোর সামনে কয়েক মিনিটের বেশি পালিয়ে থাকতে পারত না ওই অজানা হানাদার, তা সে যত কুশলী যোদ্ধাই হোক না কেন। এরা সম্ভবত নিজেরাও সেটা জানে। তাই শেষমুহূর্তে মত বদলে ফের উঠে এসেছে বাতাসে।
হাতের ঘড়িটার দিকে একবার দেখে নিলেন লালপিওতে। আর ত্রিশ মিনিটও বাকি নেই। আকাশে জ্বলন্ত বিরাট আগুনের গোলাটার গতি হালকা টের পাওয়া যায় এখনো। আর কয়েক মিনিটের মধ্যেই আয়নমণ্ডলে ঢুকে আসবে সাক্ষাত মৃত্যুদূত ওই সুইফট টাটল… সংঘাত মুহূর্তে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে হলে আর দশ মিনিটের মধ্যে আবহমণ্ডল ছাড়তে হবে তাঁকে। ক্রসওয়্যারের গায়ে সরে যেতে থাকা বিন্দুটার দিকে তাকিয়ে এইবার যানের গতি বাড়ালেন লালপিওতে। একে আকাশের বুকে রেখে তিনি নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে পারেন না।
***
সামনে দ্বীপটার মাঝখানে মাথা উঁচু করে থাকা পাহাড়টার চূড়া এগিয়ে আসছিল।সেদিকে তাকিয়ে এক মুহূর্তের জন্য একটু অন্যমনস্ক হয়ে গেল কা পোন। ওই তার জন্মভূমি। ওর পেটের ভেতরে লুকিয়ে থাকা গুহাশ্রেণীতে একদিন তার প্রথম চোখ মেলা। আজ সেখানে মানুষ নেই। তার প্রিয়জনরা সেখানে এক ভয়াল ঘাতক অস্ত্রকে জায়গা দিয়ে সরে গেছে পাহাড়ের আরো গভীরে অন্য ঠিকানায়।
একটশ ঝাঁকুনি দিয়ে নিজের ক্ষণস্থায়ী ভাবালুতাকে সরিয়ে দিল কা পোন। এখন প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। হিসেবের সামান্য ভুলের দামও নিজের প্রাণ দিয়ে চোকাতে হতে পারে তাকে।
এগিয়ে আসা পাহাড়চূড়াটার দিকে লক্ষ্য স্থির রেখে কার্তাঙ-এর নিয়ন্ত্রণ টাইকোর হাতে ছেড়ে দিল কা পোন। মণিবন্ধে একটা ছোটো ধাতব ক্যাপসুল বেঁধে নিয়েছে সে। ওতে টাইকো ঘুমিয়ে আছে। টাইকোর যাবতীয় ডেটা, তার ব্যাক্তিত্বের অ্যালগরিদম।
“এইবার… টাইকো…”
“ইয়েস বস… তাহলে বিদায়, অন্তত কিছুদিনের জন্য…” পাহাড়ের চুড়াটার একেবারে সামনে পৌঁছে, হঠাৎ যেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এলোমেলো একটা ডিগবাজি খেলো কার্তাং।
চূড়াটার সঙ্গে সংঘাতের ঠিক আগের মুহূর্তে পলকের জন্য খুলে যাওয়া হ্যাচটা বেয়ে কা-পোনের শরীরটা গড়িয়ে পড়েছিল। তারপর অসহায়ভাবে পাহাড়ের অন্য ঢাল বেয়ে গড়িয়ে যেতে যেতেই কানফাটা একটা বিস্ফোরণ তাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল, টাইকোর এই সংস্করণ তার শেষ কাজটা নিখুঁতভাবেই সেরেছে।
***
“অ্যাডমিরাল…” পায়ের নীচে লাফিয়ে ওঠা আগুনের লেলিহান জিভগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে সামীরা কখন যেন তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন লালপিওতে। বেসামাল উড়ানের পথে ওই পাহাড়ের চুড়োটাই তাঁর কাজটা নিখুঁতভাবে সেরে দিয়েছে। ওই যানে যে-ই থাকুক তার আর বেঁচে থাকবার কোনো সম্ভাবনা নেই।
“যানের নিয়ন্ত্রণ নাও সামীরা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আবহমণ্ডল ছেড়ে গভীর মহাকাশে ফিরে যেতে হবে আমাদের। আজ সেখানে নিরাপদ দূরত্বে বসে আমি আমার এতদিনের সাধনার ফলাফল দেখতে চাই। মঙ্গল উপনিবেশ দীর্ঘজীবি হোক…”
একটা আশ্চর্য প্রশান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছিল লালপিওতের গলায়। তীব্র ত্বরণ নিয়ে তাঁর ভেলা তখন ফের একবার মাথা উঁচিয়েছে ঊর্ধ্বাকাশের দিক।
ক্রমশ
গ্রাফিক্স্- ইন্দ্রশেখর