একটা বই তোমাকে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে। বইটার মলাট সবুজ, ভেতরটাও। মস্কোয় থাকে ছোট্ট ভাদিক।তুমি হচ্ছ তার সঙ্গী। বাবা ভাদিককে নিয়ে যাবেন বোটানিকাল গার্ডেন।
এরপরই খুলে যাচ্ছে এক চমৎকার ‘গহন সবুজ দ্বীপ’এর দরজা। বিশাল এক অভয়ারণ্য, যেখানে ‘সারা দুনিয়্যা থেকে এসেছে রাজ্যের যত গাছগাছড়া…সাইপ্রেস, পাম গাছগুলি আঁকড়ে ধরে আছে সুদূর উত্তুরে লাইকেন আর মস,মস্কোর ফার গাছের সংগে দিব্বি গলাগলি করে বাড়ছে দক্ষিণ আমেরিকার পাইন’।
ছোট্ট ছয় বছুরে অস্থির ভাদিক তোমার মতই ভালবাসে বাবা মার সঙ্গে শহরময় বা গ্রামের মাঠে ঘুরে বেড়াতে, বেড়ানো তার কাছে দুনিয়ার সবচে প্রিয়।
বইটার মজা হল সত্যি ছবির পাশাপাশি হাতে আঁকা ছবিগুলো। লেখক ভিক্তর দাতস্কেভিচ নিজে ক্যামেরায় তুলেছেন অসংখ্য রঙিন ছবি মস্কো উদ্ভিদ উদ্যানের।
শুধু এখানেই শেষ নয়,পাতার নং দিয়ে দস্তুরমত পরিচয়লিপি করে রাখা আছে। সারা দুনিয়ার গাছগুলো চিনে ফেলা কী সহজ তাই।
ওক, বার্চ, ম্যাপল, লার্চ
মরশুমী ফুল করছে নাচ…নেচে নেচে ঘোরো বাগানে।
কী নেই এই অভয়ারণ্যে! ভেলার মত শাপলা পাতা,গালচের মত পেটুনিয়ার কেয়ারি, গোলাপবাগিচা দেখে ভাদিকের মায়ের কথা মনে হয়,পরের বার মাকে আনতেই হবে। একটা ছোটো টয় ট্রেন চেপে চল্ল ভাদিক। সঙ্গে আমরাও যেন চলতে থাকি…এমনি করে কত গাছ, লতা,ফুল,পাখি চেনা হয়ে যায়…
ভ্লাদিমির লেভিন্সনের আকা ছবিগুলো বেশ মজাদার আর এক্কেবারে ঘরোয়া ভাষায় অনুবাদ দ্বিজেন শর্মার। বইটির প্রকাশক “রাদুগা প্রকাশন”মস্কো। প্রকাশকাল ১৯৮৮। মূল বইটির নাম ‘The Green Island’ আর তার ঠিক নিচে লেখা ‘ছোট্ট শিশুদের জন্যে’।