বনের ডায়েরি সব লেখা একত্রে
পাখি দেখা- ধনেশ

গ্রেট হর্নবিল (রাজ ধনেশ)
অলোক গাঙ্গুলী
পাখি যে তেমন চিনি তা কিন্তু নয়, তবে পাখি নিয়ে কথা উঠলেই কেমন যেন নির্বাক হয়ে যাই আর হাঁ করে তার কথা শুনতে থাকি। শুধু তাই নয়, বাড়ির আশে পাশে ডাকতে থাকা কত পাখি দেখি, যেমন কাক, শালিখ, চড়াই, কোকিল, মাঝে মাঝে বসন্তবউরি, যাকে অনেকে বেনেবউও বলে থাকে।
এইসব পাখি আমাদের খুব কাছাকাছি উড়তে দেখা যায়। একটু ভাল করে খেয়াল করলে এদের গায়ের রঙ, এদের ডাক মনে রাখতে পারা খুব কঠিন নয়। কিছুদিনের পর্যবেক্ষণ এই সব পাখিদের স্বভাব চিনিয়ে দেয়। আর যদি চোখে দুরবীন লাগিয়ে দেখা যায়, হতে পারে গাছের ডালের ফাঁকে ফোকরে বেশ কিছু অজানা পাখির দেখাও মিলতে পারে।
সেই সব অজানা পাখির নাম জানার জন্য আজকাল তো গুগলবাবা আছেনই, তাছাড়া ফেসবুকে মিলবে বহু গ্রুপ যারা পক্ষী নিয়ে বিশেষ চর্চা করে থাকে। পাখির ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে দিয়ে তাদের সাহায্য চাইতে হবে পাখির নাম জানার জন্য। আর যখন এই ভাবে একের পর এক অজানা পাখিদের নাম জানা যাবে, তৈরি হবে নিজস্ব এক পাখির এ্যালবাম। তারপর থেকে ক্রমাগত ইচ্ছে হবে সে সব পাখিদের আবাস, খাওয়ার অভ্যাস জানার জন্য। আর এই ভাবেই বাড়তে থাকবে পাখি দেখার আরো ইচ্ছে বা ক্ষিদে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে ২০১৮ সালকে ন্যাশ্যানাল জিওগ্রাফিক পত্রিকা এবং অন্য কিছু সংস্থান মিলে, যেমন ন্যাশ্যনাল অডুবন সমিতি, আন্তর্জাতিক পক্ষিজীবন ও কর্নেল ল্যাব অফ অর্নিথোলোজি (National Audubon Society, BirdLife International and the Cornell Lab of Ornithology) আন্তর্জাতিক পাখিবর্ষ হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর কারণ হল যে ১৯১৮ সালে মার্কিন কংগ্রেস একটি আইন পাশ করে যাতে পাখিদের অবাধে হত্যা বন্ধ করা যেতে পারে। সেই আইনের শতবার্ষিকি পুরণ হিসাবে তাই সাল ২০১৮কে পক্ষিবর্ষ বলে বেছে নেওয়া হল। খ্যাতনামা জীববিজ্ঞানী ও সংরক্ষণবাদী টমাস লাভজয় বলেছেন – যদি তুমি পাখিদের ঠিক প্রকার যত্ন নিতে পার, তাহলে তুমি বিশ্বের অনেক সমস্যার যত্নসহকারে তদারকি করতে পারবে (‘If you take care of the birds, you take care of most of the big problems in the world.’)।
ভারতে মোটামুটি ১৩৫০ প্রজাতির পাখি লিপিবদ্ধ আছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই ৮৯০ প্রজাতি পাখির উপস্থিতি প্রমাণিত। একটু লক্ষ করলেই আমাদের আশপাশে খাল বিলে দেখা মিলতে পারে অনেক রকম প্রজাতির পাখির। গ্রীষ্মে পাওয়া যায় একরকম, বর্ষায় আসে কিছু অন্য প্রজাতির পাখি (Monsoonal birds), আবার হেমন্তকাল থেকেই আনাগোনা শুরু হয় শীতকালের পাখিদের। এদের দেখা পাওয়া বলা যেতে পারে চোখের জন্য এক স্বর্গীয় দৃশ্য। এই সব পাখি সাধারণত শীতের জায়গা থেকে, অর্থাৎ পাহাড় থেকে এরা সমতলভুমিতে নেমে আসে শীত এড়াবার জন্য। এইসব শীতকালের পাখিরা হয় অদ্ভুত সুন্দর। কারো গায়ে দু’তিন রকমের রঙ, মাথায় হয়তো সুন্দর ঝুঁটি।
আবার এদের মধ্যেই অনেক পাখি আছে যাঁরা কোনোদিনই নিজেদের বাসস্থান, অর্থাৎ পাহাড়ি জঙ্গল ছেড়ে নিচে নেমে আসে না। তেমনই এক পাখি হল ধনেশ, যাকে আমরা ইংরেজি তে বলে থাকি হর্ণবিল (Hornbill)।

গ্রে হর্নবিল(মেটে ধনেশ)
ধনেশ পাখি, Bucerotiformes বর্গের Bucerotidae গোত্রের লম্বা লেজযুক্ত, নিম্নমুখী বাঁকা বৃহৎ ঠোঁটবিশিষ্ট লম্বাটে গড়নের পাখি। অধিকাংশই বৃক্ষবাসী এবং বৃহদাকার। পৃথিবীব্যাপী ৫৬ প্রজাতির ধনেশ রয়েছে। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশই প্রায় ১০ রকম প্রজাতির ধনেশ পাওয়া যায় যার মধ্যে ভারতেই আছে ৯ প্রকারের। কেবল মাত্র শ্রীলঙ্কাতে সীমাবদ্ধ রয়েছে মেটেধনেশ (Grey Hornbill)।
ধনেশ ঠোঁটের সাহায্যে আহার (শক্ত কীটপতঙ্গ ও ফল গুঁড়ো করে), লড়াই, পালক পরিষ্কার ও বাসা গোছানোসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। পুরুষ পাখি আকারে স্ত্রী পাখি থেকে সামান্য বড়। প্রতি প্রজাতির ধনেশের স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর রয়েছে। অধিকাংশ ধনেশই স্থবির স্বভাবের এবং একটি নিজস্ব এলাকার সীমানার মধ্যেই জোড় হিসেবে বাস করে, যা ১০ হেক্টর থেকে ১০০ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
ধনেশরা গাছ ও পাথরের প্রাকৃতিক খোঁদলে বাসা বানায় এবং অধিকাংশ প্রজাতিতে স্ত্রী পাখি ঠোঁটের সাহায্যে কাদা, বিষ্ঠা ইত্যাদি দিয়ে বাসার মুখে একটি সরু ফাঁক রেখে বাকিটা আটকে দেয়। বাংলাদেশের বড় ধনেশের মতো কোনো কোনো প্রজাতির পুরুষ পাখি কাদা যোগায় ও বাইরের দিক থেকে বাসা আটকানোর কাজে সাহায্য করে এবং অন্য কতকগুলির পুরুষ পাখি কাদা গিলে অন্ননালিতে বড়ি বানিয়ে স্ত্রী-পাখির কাছে উগরে দেয়।
যে সকল প্রজাতির স্ত্রী-পাখি বাসার যাবতীয় কাজকর্ম (nesting cycle) সমাপ্তির আগে বাসা ছেড়ে বেরিয়ে আসে তাদের অপরিণত বাচ্চারা খোঁড়লের মুখ আবার বন্ধ করে দেয়। সব প্রজাতিতে পুরুষ পাখি স্ত্রী পাখিকে এবং পরে বাচ্চাদের আহার যোগায়, দলে থাকা প্রজাতিতে দলের অন্য সদস্যরা এক্ষেত্রে সাহায্য করে।
ছোট ধনেশ ৬টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে, প্রায় ২৫ দিন তা দেয়, প্রথম বাচ্চাটির বয়স প্রায় ৪৫ দিন হলে স্ত্রী পাখি খোঁড়ল থেকে বের হয়। বড় পাখি ২টি ডিম পাড়ে, প্রায় ৪৫ দিন তা দেয় এবং বাচ্চাদের একমাস বয়সকালে বাসা ছাড়ে, যদিও প্রায় ৮০ দিন বাসায় যাতায়াত করে। অধিকাংশ বড় প্রজাতির স্ত্রী পাখি বাচ্চা না ওড়া পর্যন্ত বাসায় থাকে এবং সর্বমোট ৪-৫ মাস বন্দি জীবন কাটায়।
বেশিরভাগ প্রজাতির স্ত্রী পাখি বাসায় থাকাকালে পালক নির্মোচন করে; ডিম পাড়া শুরুর অল্পদিনের মধ্যেই সকল উড্ডয়ন পালক ঝরে যায় এবং বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আবার পালক গজায়।
বাংলাদেশের ধনেশ পাখিরা হচ্ছে পাতাঠুঁটি ধনেশ (Wreathed Hornbill), উদয়ী পাকরাধনেশ (Oriental Pied Hornbill), রাজ ধনেশ (Great Hornbill) ও দেশি মেটেধনেশ (Indian Grey Hornbill)। এদেরকে উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মিশ্র চিরহরিৎ বনে দেখা যায়।

ওরিয়েন্টাল পায়েড হর্নবিল
ধনেশ কিন্তু তাদের আহারের ব্যাপারে যথেষ্ট খুঁতখুঁতে। তারা পছন্দ করে থলথলে শাঁসযুক্ত ফল। শাঁসটাকে সুন্দর করে বেছে খেয়ে নিয়ে বীজটাকে জঙ্গলেই ফেলে দেয় এবং অজান্তে তারা আমাদের উপহার দেয় বনকে আরো বিস্তৃত করতে।
আমার ধনেশ পাখির দেখার ইচ্ছে অনেক বছরের। কিন্তু তা পরিপূর্ণ হল আজ থেকে মাত্র বছরদুয়েক আগে। সেটাই আমার উত্তরবঙ্গের প্রথম বনভ্রমণ। ডুয়ার্সের গোরুমারা ও জলদাপাড়ার জঙ্গলে গিয়ে বলা যায় সিদ্ধিলাভ হয়।
জঙ্গল-প্রবেশের প্রথম দিন থেকেই চোখ মেলে রয়েছি গাছের ডালের দিকে আর কান সজাগ রেখেছি ধনেশের ডাক শোনার জন্য। দুদিন ধরে বহু পাখিই ক্যামেরার লেন্স বন্দি করেছি কিন্তু ধনেশ বাবাজির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। বিকেলে ঘরে ফিরে গিয়ে রীতিমত হতাশ হয়ে পড়েছি। কী করলে ধনেশের দেখা পাওয়া যায়?

ওরিয়েন্টাল পায়েড হর্নবিল
তখন আলাপ হল নিখিল নামে এক ফরেস্ট গাইডের সঙ্গে। সে বললে, “চলুন স্যার বিকেলে নেওড়া নদীর ধারে। হাতি, গন্ডার, লেপার্ড, হরিন ওখানে জল খেতে আসে এবং আসে পাশের গাছে অনেক রকমের পাখি। তাছাড়া ধনেশের বাসা তো আছেই।”
শুনে তো মনটা বেশ চঞ্চল হয়ে উঠল। বিকেলে হতেই নিখিলকে তলব করে রওনা হলাম নেওড়া নদীর ধারে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে রইলাম। পোড়া কপাল যাকে বলে। একটা পশুরও দেখা পেলাম না সেদিন। নিখিল জানাল যে আজ তারা নদীর অন্য কুলের দিকে গেছে। সে যেতেই পারে। তবে আমার তো উদ্দেশ্য অন্য প্রাণী, ধনেশ। আমি তো খুঁজে চলেছি ডালের ফাঁকে ফোকরে, যদি তার দেখা মেলে। কিন্তু কই? অনেক প্রকারের পাখির ছবি তুললাম, কিন্তু ধনেশ সেদিনও ফাঁকি দিয়ে গেল।
পরের দিন আমার গোরুমারা জঙ্গলের অন্য এক প্রান্তে চলেছি মোষের গাড়িতে চেপে। অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা। নিখিল ছিল আমার সঙ্গেই। দেখে চলেছি মনোহারি চা বাগানের দৃশ্য আর তার মধ্যেই এক কোনে দেখতে পেলাম এক প্রকান্ড গন্ডারের। আপন মনে সে ঘাস, পাতা খেয়ে চলেছে। ওকে দেখতে যে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়েছে, তার দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই।
হঠাৎ নিখিল আমার ধ্যান আকৃষ্ট করল আর এক দিকে। পেলাম আমার স্বপ্নের পাখির প্রথম দর্শন। এক জোড়া ধনেশ, গাছের ডালের মাথায়। উদয়ী পাকরাধনেশ (Oriental Pied Hornbill) নামেই এদের পরিচয়। লম্বা ঠোঁট আর তার উপরে মনে হয় আরো কিছু চাপানো আছে। এটি কে ইংরেজি তে ক্যাস্ক (Casque) বলা হয়। ভারতীয় ধনেশের মধ্যে সব থেকে দীর্ঘ ক্যাস্ক ৭.৫”, চওড়ায় ৪.১” ও উচ্চতায় ২.১”।
রাজকীয় এই পক্ষী দেখতে পেয়ে আমি অনেক্ষণ মোহিত হয়ে চেয়ে ছিলাম। ভাগ্য মনে হয় সুপ্রসন্ন, সেদিনই মোষের গাড়িতে চেপে যেতে যেতে শুনতে পেলাম এক বিকট কর্কশ ধ্বনি, দেখতে পেলাম এবার এক রাজ ধনেশ (Great Hornbill)। বিশাল এই পক্ষী উড়ে এসে বসল এক গাছের ডালে আর দূর থেকে দেখে আমার মনে হল গাছের কোটরে রয়েছে তার জোড়া। সেখানেই সে হয় ডিম পেড়েছে অথবা তাদের বাচ্চাকে বড় করে তুলছে। পুরুষ ধনেশ বাইরে থেকে তাদের খাবার যোগান দিচ্ছে। অদ্ভুত এই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পেয়ে মনটা ভরে গেল। এই সব দৃশ্য জঙ্গল ছাড়া আর কোথায় পাওয়া যাবে?

রাফাস নেকড হর্নবিল
একবার যখন ধনেশ-ভাগ্য খুলেছে আর কে থামায়। গোরুমারা শেষ করে করে জলদাপাড়া পৌঁছেই একবারে প্রথম দর্শনেই উদয়ী পাকরাধনেশ (Oriental Pied Hornbill)। মনে হয় এবার আমার হাতের ধনেশ রেখা ফুটে উঠেছে। আরো একটু এগিয়েই আবার গাছের মগডালে একটা উদয়ী পাকরাধনেশ ।
আমি কেবল প্রাণভরে এই পাখি দেখে গেলাম। অজস্র ছবি তুলেছি আর মস্তিষ্কের হার্ড ডিস্কে সেটা আপলোড করে রেখে দিয়েছি।
স্থানীয় মানুষ একটা গল্প শোনাল। স্ত্রী ধনেশ যখন ডিম পাড়ার জন্য কোটোরে প্রবেশ করে তখন পুরুষ ধনেশ বাইরে থেকে কোটোরটিকে কাদা মাটি দিয়ে আটকে দেয় আর কিছু ছিদ্র করে রাখে খাবার যোগান দেওয়ার জন্য। যদি কোনো কারণে পুরুষ ধনেশটি মারা যায় তাহলে স্ত্রী ধনেশটিরও মৃত্যু ঘটে কারণ ভিতর থেকে সে নাকি ওই মাটির প্রলেপ ভাঙতে পারে না। এই গল্পটি অবশ্য সত্যি নয়, কোনো পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনে।
কিন্তু ধনেশের প্রকৃত পরিচয় পেলাম আরো এক বছর পরে। উত্তরাখন্ডের রামনগরে অবস্থিত জিম করবেট টাইগার রিজার্ভে গিয়ে সেখানে আমার গাইড রশিদের কাছে অনেক কিছু জানতে পারলাম। এবং শুনে তাজ্জব হয়েছি বনবৃদ্ধিতে ধনেশের অবদান জানতে পেরে।
ধনেশ যে গাছে বাসা বাঁধে সেই গাছের তলাটা অবশ্যই দেখতে হবে। সেখানে ছড়ানো থাকে শয়ে শয়ে ফলের বীজ। সেই বীজ থেকে চারা হয় এবং পরে বড় গাছ। খুব কম বীজ চারায় পরিণত হয় আর খুব কম চারাই বড় গাছ হয়, কিন্তু এই ভাবেই বনের বিকাশ হয়।
শুধু তাই নয়। ধনেশ মাইলের পর মাইল উড়ে যায় ভাল শাঁসযুক্ত ফলের খোঁজে এবং সেই ফলের বীজ তারা সারা জঙ্গলে ছড়াতে ছড়াতে আসে। সেইজন্যেই বনে এত রঙিন থলথলে শাঁসযুক্ত ফলের গাছ দেখতে পাওয়া যায়, যার পেছনে রয়েছে অবশ্যই ধনেশের অবদান। এই তথ্যটি আমাকে জানায় জিম করবেট টাইগার রিজার্ভের গাইড রশিদ। শুধুমাত্র ধনেশ নয়, রশিদ জঙ্গলের প্রতিটি পাখির নাম জানে, তাদের আচরণ, আহার, বাসস্থান। করবেটে কটি বাঘ আছে তাও রশিদের অজানা নয়।
মনে পড়ে, বক্সার জঙ্গলে এবং পাহাড়ে ট্রেক করতে গিয়ে আলাপ হয়েছিল ইন্দ্রশঙ্কর থাপার সঙ্গে। এক সন্ধেবেলায় ঘরে বসে আমাদের শুনিয়েছিলেন পাখিরা কীভাবে বনকে আরো বিস্তৃত করতে সাহায্য করে। এত সহজ পাঠ আমরা বোধহয় স্কুলের পাঠ্য পুস্তকেও পড়িনি। সে আমাদের শিখিয়েছিল পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণের নানা উপায়। সে বুঝেয়েছিল পশু, পাখি, পোকামাকড় ইত্যদি কী প্রকারে বনকে বিকশিত করতে সাহায্য করে। এই সব মানুষেরা, নিখিল, থাপা, রশিদ, হয়ত এদের পুঁথিগত বিদ্যা বেশি নেই, কিন্তু পরিবেশ রক্ষণার্থে এরা সমাজে অপরিহার্য।
এই সমস্ত জঙ্গল ঘোরার শেষে আমার মনে হয়েছে ইঁট বালির জঙ্গলে থেকে, অনেক বই পড়েও আমাদের অবদার পরিবেশের প্রতি কত কম। আমরা নিজরাই ঠিক মত সচেতন নই, অন্যদের কী করে সচেতন করব?
ছবিঃ লেখক
অপূর্ব লাগলো
LikeLike