আগের পর্বে দেশবিদেশের ভূতেরা-দে ওজেন ও ভির
দেশ –বিরিকা
চেহারায় ছোটোখাটো। লালরঙের কাপড় পরে। খোঁচা খোঁচা রক্তমাখা দাঁত। রাত্তির হলে কখনো কখনো কোন বাড়ির সামনে তার আবির্ভাব হয়। বিটকেল শব্দ করে খানিক ঘোরাফেরা করে সে উধাও হবে ফের। যার বাড়ির সামনে সে তেমন করল, সে বাড়িতে এরপর কারো মৃত্যু হবেই। লোকজন ভিরিকাকে চটাতে চায় না তাই। রেগে গেলে সুস্থসবল মানুষের বাড়ির সামনে এসে রাতে একবার নাচ দেখিয়ে গেলেই চিত্তির। সে বাড়ির মানুষ হোক, গরুভেড়া হোক, কেউ একটা অসুখে পড়বে আর মারা যাবে।
বছরে একবার করে গুড়, ভাত আর একখানা লাল শাড়ি দিয়ে তাই তার পুজো করা হয়। ভুলে গেলে মহা বিপদ। তখন ক্ষেপচুরিয়াস ভিরিকাকে ঠাণ্ডা করতে “কানি” পুরুতের ডাক পড়ে।
বিদেশ –ভিলকাসি
লাটভিয়ার ভূত। বেজায় ভয়ংকর। অভিশপ্ত কোন মানুষের ঘুমের মধ্যে তার শরীর থেকে বের হয়ে আসে। লাটভিয়ানরা বিশ্বাস করে তাদের ভগবান যদি কোনো লোকের ওপর ক্ষেপে ওঠে তাহলে ঘুমের মধ্যে তার আত্মার অন্ধকার দিকটা একটা নেকড়ের চেহারা নিয়ে বের হয়ে আসে। সে নেকড়েকে অস্ত্র দিয়ে মারা যায়। কিন্তু মুশকিল হল, এমনি নেকড়ের চেয়ে সে অনেক বেশি হিংস্র আর চালাক হয়। তবে কেউ কেউ আবার তাকে কাজেও লাগায়। ধর কোন শিকারী যদি একটা ভিলকাসিকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে তখন তার চারপাশে গোলাপের পাপড়ির একটা বৃত্ত বানিয়ে দিলেই ভিলকাসি ঠাণ্ডা। শিকারীর হুকুমের চাকর হয়ে সে তখন গুপ্তধন খুঁজে দেবে তাকে মাটি শুঁকে শুঁকে।
|