আগের পর্বে বিরিকা ও ভিলকাসি
জিয়াংসি
জিয়াংসি হল চিনে ভূত। এরা লাফানে ভ্যামপায়ার নামেও পরিচিত। ভিয়েতনামে তারা কুওং থি নামে পরিচিত। কোরিয়ানরা তাকে জানে গ্যাংশি নামে। জাপানিরা তাকে কিয়োনশি বলে ডাকে। রাতের বেলা দুপাশে হাত ছড়িয়ে জমকালো পোশাকে ঢাকা কোন মৃতদেহকে কখনো লাফিয়ে লাফিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখলে জানবে সে হল এই জিয়াংসি।দিনের বেলা তারা কফিনে ঢুকে ঘুমোয়।
প্রাচীন চৈনিক পণ্ডিত জি জিয়াওলান তাঁর পুঁথিতে লিখেছেন, সাধারণত সদ্য মরা কোন মানুষের শরীর প্রাণ পেলে,বা দীর্ঘকাল কবরে থেকেও কোন মৃতদেহ না পচে উঠলে তারাই জিয়াংসি হয়। অনেক ভাবে তা ঘটানো যেতে পারে।
কী কী ভাবে জিয়াংসি জন্মায়
তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে
মৃতদেহে ভূতে ভর করলে
মৃতদেহ প্রকৃতি থেকে জীবন-শক্তি কোনভাবে শুষে নিতে পারলে।
মৃতদেহের দুই আত্মার মধ্যে ভালো আত্মা হান শরীর ছেড়ে গেলে ও পাজি আত্মা পো শরীর বসে থাকলে
মৃত্যুর পরে কবর না দিলে, মৃতদেহে বাজ পড়লে বা কালো বেড়ালে মৃতদেহের কফিনের ওপর দিয়ে লাফিয়ে গেলে।
মানুষের জীবনীশক্তি তার খাদ্য। তবে, জিয়াংসিতে কামড়ালে, যে কামড় খায় সে-ও জিয়াংসি হয়ে যায়।অনেকসময় পচাগলা চেহারা নিয়েও তারা আবির্ভূত হতে পারে। তাদের চামড়া হয় সবজেটে সাদা। চামড়ায় ছত্রাক জন্মাবার জন্য এমনটা হয়। মাথার চুল ধবধবে সাদা।
জিয়াংসি তাড়া করলেঃ
তার মুখের সামন আয়না ধরতে হয়। নিজেকে দেখলে সে এইসান ভয় পায় যে এক ছুটে পালিয়ে যায়।(মোবাইল ফোন সেলফি মোডে করে ঘুরিয়ে ধরলেও কাজ হবে)
পিচ গাছের কাঠের তৈরি কিছু দেখালেও সে পালাবে।
মোরগ ডাকলে ,কেউ ঘন্টি বাজালে, ঝাঁটা বা কুড়ুল দেখালে জিয়াংসির জারিজুরি শেষ।
কালো গাধার খুর নিয়ে তাড়া করলে দারুণ কাজ হয়।
কালো কালি আর মুরগির রক্ত মাখানো কাপড় সামনে ধরলে জিয়াংসি আর কিছু করতে পারে না।
আর কিছু না থাকলে পকেটের পার্স বের করে খুচরো পয়সা মাটিতে ছড়িয়ে দিও। জিয়াংসি পয়সা দেখলেই গুণতে বসে। সেই ফাঁকে পালিয়ে যেতে সমস্যা হবে না।