জয়ঢাকি ভূতের আড্ডা
ডামরি
ডামরী কিন্তু একলা কোন পেত্নী নয়। সে হল নানাজাতের পেত্নীদের একটা দল। যথা যোগিনী, যক্ষিনী, কিন্নরী, অপ্সরী, ভূতিনি এইসব। ভূত ডামর নামে একখানা বই আছে। তা থেকে বেছে বেছে মন্ত্র পড়ে এদের একেকজনকে নাকি বশ করে ভূতের ওঝারা।
এ পেত্নীরা মানুষ মরে জন্মায় না। কেউ কেউ বলে এরা সব অন্য কোন মাত্রার জীব। ভূত ডামরের মন্ত্র পড়ে নানান কায়দাকানুন করে ডাকলে আমাদের দুনিয়ায় ঢুকে আসতে পায়। তারপর যে ডাকে তার আদেশ মেনে নানান ভূতের কীর্তি করে বেড়ায়। কায়দায় পেলে যে ডাকে তারও ঘাড় মটকে দিতে পারে।
কোবল্ড
জার্মান ভূত। এমনিতে অদৃশ্য, কিন্তু যেকোন জন্তু, মানুষ আগুণ এইসব চেহারা ধরে এসে হাজির হতে পারে। মানুষের কাছাকাছি যে কোবল্ডরাথাকে তারা চাষাভুষোদের পোশাক পরে। খনি অঞ্চলের মাটির তলার কোবল্ডরা বিচ্ছিরি দেখতে হয়। জাহাজের চিমনির বাসিন্দা কোবল্ডরা নাবিকের চেহারায় দেখা দেয়।
ঘরবাসী কোবল্ডরা মেজাজ শরিফ থাকলে ঘরের অনেক কাজ করে দেয় নিমেষে আর মেজাজ খারাপ হলে বারির লোকজনকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়বে তারা নানান দুষ্টুমি করে।
থেকে।ভাষাবিজ্ঞানীরা বলেন, গবলিন, কবুটার এই সাহেব ভুতদের নামও এসেছে এই কোবল্ডদের নামের থেকেই। মজার খবর হল মৌলিক ধাতু কোবাল্ট-এর নাম এসেছে এই কোবল্ডদের থেকে। এর আকরিক আর্সেনিকজাতীয় ও বিষাক্ত হুয়ায় খিনিশ্রমিকরা ভাবতেন বুঝি কোবল্ডরা সে বিষক্রিয়ার জন্য দায়ী। বেচারা ধাতু তাই তার নাম পেয়েছে এই সাহেব ভূতের নাম থেকেই।