জয়ঢাকের বিপুল ভূতের আড্ডা
ভূতের বাড়ি
কাসেম বান্ডিত ইউনিভার্সিটি পেন ফ্যাক্টরি
অরিন্দম দেবনাথ
১৯৮৭ সালে স্থাপিত, ব্যাংককের পাটানাকরন রোডের কাসেম বান্ডিত উনির্ভারসিটির জমির ওপর আশি একর জায়গা জুড়ে কলম তৈরির এক কারখানা বন্ধ হয়ে পড়ে আছে ‘ওঁনাদের’ জন্য।
আসলে সমস্যাটা ঠিক “ওঁনাদের” জন্য নয়। ঠিক করে বললে বলতে হবে শুধু “ওঁর” জন্য। তিনি ও-বাড়ির অধিষ্ঠাতা এক অদেখা আত্মা। বাড়িটাকে তিনি নিজের জমিদারি হিসেবেই ভাবেন এবং আর কাউকে সেখানে থাকতে দিতে তিনি রাজি নন।
তাঁর প্রথম আবির্ভাব বেজায় বিস্ফোরক ছিল। কারখানার একটা দিব্যি সুস্থসবল পাম্প হঠাৎ একদিন বিকট শব্দ করে ফেটে যায়। তাতে একসংগে অনেক কর্মী মারা পড়েন।
কোম্পানি তাতেও হাল ছাড়েনি। বিপদটিপদ কাটিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এমন সময় তিনি ফের খেলা দেখালেন। কারখানার সর্বোচ্চ তলায় ম্যানেজারের ঘর। একদিন হঠাৎ তার ভেতর বন্দুকের শব্দ উঠল। লোকজন গিয়ে দেখে ম্যানেজার মরে পড়ে আছেন বন্দুকের গুলিতে। বন্দুক বা বন্দুকবাজ কোনো কিছুরই কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না।
এরপর একে একে আরো অনেক দুর্ঘটনাই ঘটেছে সেখানে। তার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধু লোকজন বলেছে ও কারখানার জলের ট্যাঙ্কের গায়ে ভুল করে কেউ তিনবার টোকা মারলেই তিনি আবির্ভূত হন আর তখন কারো না কারো প্রাণ যায়।
অনেক দুঃসাহসী বীর সে কারখানায় ঘুরতে গিয়ে ফিরে এসে একটাই কথা বলেছেন, ঘুরতে ঘুরতে মাঝেমধ্যেই তাঁরা একেবারে স্থির হয়ে যান। হাত পা নাড়াতে পারেন না।
সত্যি? আলোচনায় কাজ কী? ব্যাঙ্কক গেলে একবার ওখানে চলে যেও। তারপর একলা কারখানায় ঢুকে ওর জলের ট্যাঙ্কের গায়ে তিনটে টোকা মেরে দেখো কী হয়! তারপর ফিরে এলে (মানে যদি ফিরে আসো আরকি) আমাদের জানিও।
জয়ঢাকের বিপুল ভূতের আড্ডা
ওরে বাবা
LikeLike