আগের পর্বের ভূতের বাড়ি-পার্ক স্ট্রিট গোরস্থান
মুম্বাইয়ের মালাবার হিল্স্ এলাকায় একটা ঝাঁ চকচকে ২৮ তলার বহুতল আছে। তার নাম গ্র্যান্ড পারাডি টাওয়ার। সেখানে স্কোয়ার ফুটে দাম চল্লিশ হাজার টাকা। বহুতলটা ১৯৭৫ এ তৈরি হলেও খবর অনুযায়ী এখনও তার তিনটে টাওয়ারের অনেক ফ্ল্যাটই ফাঁকা পড়ে আছে।
বাড়িটার বদনাম আছে বেজায়। অন্তত কুড়িটা আত্মহত্যা হয়েছে এ বাড়িতে। একনজর দেখে নেয়া যাকঃ
১৯৯৮ এর ১৪ জুন। আত্মঘাতী হলেন দম্পতি বাসুদেব ও তারা দালাল। সুইসাইড নোটে অভিযোগের আঙুল উঠল পুত্র ও পুত্রবধূ বালকৃষ্ণ ও সোনালের নামে। এর সাত বছর বাদে, সে অভিযোগের রায় বের হবার দিন বালকৃষ্ণ, সোনাল ও তাঁদের মেয়ে পূজা ন তলার ব্যালকনি থেকে নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন।
এর আগে সেখানে জনৈক শ্রী জৈনও আত্মঘাতী হন ২০০০ সালে। এর কিছুদিন পরে সেখানকার একফ্ল্যাটের কাজের লোক নারায়ণ রামচন্দ্র ফ্ল্যাটের জানালা ভেঙে নীচে পড়ে গিয়ে মারা যায়। এমন অনেক হয়েছে সেখানে। একবার তো এক বছরে তিনখানা আত্মহত্যা ঘটবার পর কাউন্সেলিং অ্যান্ড সুইসাইড প্রিভেনশান সেন্টারের তরফে সেখানে একটা ওয়ার্কশপও করানো হয়। তাতে অবশ্য মৃত্যু বন্ধ হয়নি।
সেখানকার কর্মচারীদের মতে, এমনিতে তাঁরা সেখানে অলৌকিক কিছু দেখেননি। কিন্তু এই জায়গাটা একটু অদ্ভুত। সেখানে দীর্ঘদিন থাকলে অনেক মানুষের মনেই আস্তে আস্তে নাকি একটা কালো ছায়া গড়ে ওঠে। হতাশার ছায়া। তার কোন ব্যাখ্যা নেই। যেমন ধরো করিশমা কাড়াকিয়ার কথা। মেয়েটা গ্র্যান্ড পারাডির বাসিন্দা। সেখানে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা করবার চেষ্টা করেছিল সে। পারেনি। তারপর সেখান থেকে খানিক দূরে তিন বাত্তি এলাকায় এক বন্ধুর বাড়ি গিয়ে সেখানেগল্প করতে করতে হঠাৎ ছুটে গিয়ে নীচে লাফিয়ে পড়ে সে প্রাণ দেয়।
ব্যাপারটা বেজায় ভয়ের। এখানে ভূতটার দেখা নেই, ভয়টাই আছে শুধু। অশরীরির ভয় নয়। ভয়টাই সেখানে আসল অশরীরি।
বাপ রে বাপ !!! কন কীঈঈঈঈ !!!
LikeLike
আইব্বাপ!!!!
LikeLike