স্মরণীয় যাঁরা উমা ভট্টাচার্য সব লেখা একত্রে
কর্নেল সুরেশ বিশ্বাস
উমা ভট্টাচার্য
পরাধীন ভারতে ইংরেজ শাসকরা প্রথম থেকেই ভারতের মানুষদের মানুষ বলেই ভাবেনি। সাধারণ মানুষকে নেটিভ, কালা আদমি বলতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করত ইংরেজ শাসকেরা। এদেশে শাসনকার্য চালাবার জন্য কিছু তাঁবেদার দেশীয় কর্মচারীর প্রয়োজন ছিল ইংরেজ শাসকদের। শিক্ষাবিস্তারের চেষ্টার মাধ্যমে একশ্রেণীর বশংবদ করণিক শ্রেণীর সৃষ্টি করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
শিক্ষার সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেকে উচ্চশিক্ষার গন্ডি পেরিয়ে সমাজে নিজেদের স্থান করে নিয়েছিলেন। তবুও তাঁদের সবাইকে শাসক ইংরেজের বিশেষ সম্মান দিত না। পল্লীবাংলার সাধারণ ঘরের ছেলেদের কী অবস্থা ছিল তা সহজেই অনুমেয়।
এই পরিস্থিতির মধ্যে বেড়ে উঠছিল বাংলার এক অখ্যাত গ্রামের ছেলে সুরেশ বিশ্বাস। ছেলেবেলা থেকেই সামাজিক অসাম্য আর বাংলার মানুষদের প্রতি ইংরেজের ব্যবহার তাঁকে পীড়া দিত। এই পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পেতে কিশোর বয়সেই নিরুদ্দেশ হয়েছিলেন গ্রাম থেকে। তাঁকে আবার এক বীরযোদ্ধা বাঙালি রূপে দেখা গিয়েছিল সুদূর ব্রাজিলে।
১৮৬১ সালে, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জন্মের বছরেই অবিভক্ত বাংলার নদিয়া জেলার নাথপাড়া গ্রামে সুরেশ বিশ্বাসের জন্ম। গ্রামের গিরিশচন্দ্র বিশ্বাস আর কৈলাশচন্দ্র বিশ্বাস ছিলেন সামান্য সরকারি চাকুরে।
অতি সাধারণ সামর্থ্যের এক বিনয়ী বৈষ্ণব পরিবারের ছেলে ছিলেন সুরেশ। বাবা গিরিশচন্দ্র ছিলেন খুবই নিরীহ মানুষ। যা কিশোর সুরেশের একেবারেই পছন্দ ছিল না। ছেলেবেলা থেকেই সুরেশ ছিলেন ব্যতিক্রমী চরিত্রের। সমাজে নিজেদের অবস্থান তাঁকে ছেলেবেলা থেকেই পীড়া দিত। দেখতেন সাধারণ পরিবারের ছেলেদের মেধা বা শারীরিক ক্ষমতা থাকলেও বিদেশী শাসকের কাছে তাদের কোন দাম নেই। বাংলার যুবকেরা নেটিভের সন্তান বলে ছিল অবজ্ঞার শিকার। তদুপরি বৈষ্ণব পরিবারের আচার অনুষ্ঠান, বিধিনিষেধের আতিশয্যে তাঁর মন বিদ্রোহী হয়ে উঠছিল।
মা ছিল না তাঁর। বাড়ির প্রতি টানও ছিল না। প্রচন্ড ডানপিটে সুরেশ শৈশব থেকেই বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরেই কাটাতেন। সারাদিন খেলাধূলা,বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো, রাস্তার কুকুর, বিড়াল, হিংস্র বনবিড়াল নিয়ে হুটোপুটি, গাছে চড়া, পুকুরে ঝাঁপিয়ে বেড়ানো এইসব করেই দিন কাটত। ঝুঁকিপূর্ণ নানা কাজকর্মের দিকেই ছিল তাঁর ঝোঁক। হাত পা ভাঙার ভয়ও ছিল না, ছিল না জীবনের ভয়ও। গ্রামের স্কুলের পড়াশোনাও বিশেষ আকর্ষণও ছিল না। এক অতৃপ্ত,দুঃসাহসী বালকের মন চাইত সে-সব ছাড়িয়ে অনেক এগিয়ে যেতে।
গতবাঁধা জীবনে বিতৃষ্ণা এল সহজেই। অন্তরে ছিল এক দুঃসাহসী, উচ্চাকাঙ্খী মন। প্রথম বিদ্রোহী হলেন নিজের ধর্ম ত্যাগ করে। বয়স তখন তাঁর তেরো কি চোদ্দ। মিশনারি পাদরির কাছে প্রোটেস্টান্ট ধর্মে দীক্ষা নিয়ে বাড়ি ছাড়লেন। চলে এলেন কলকাতায়। কলকাতার ভবানীপুরের ‘লণ্ডন মিশনারি কলেজ-এর শিক্ষকদের সান্নিধ্যে কাটাতে কাটাতে ভালো ইংরেজি শিখলেন। তাঁদের কাছ থেকে চিকিৎসা বিদ্যার কিছু কিছু আয়ত্ত করেছিলেন।
এই সময় ময়দানে কুচকাওয়াজরত ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গেও সময় কাটাতেন তিনি। সবার সঙ্গে চটপট মিশে যাওয়ার, আর যে কোনও শিক্ষনীয় বিষয় অনায়াসে আত্মীকরণের অদ্ভুৎ ক্ষমতা ছিল তাঁর। গোরা সেনাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সূত্রে ঘোড়ায় চড়া, ঘোড়াকে পোষ মানানো শিখে ফেললেন। ছেলেবেলা থেকেই গরু-বাছুর, বিড়াল, কুকুরের সঙ্গে খেলে সময় কাটাবার অভ্যাস ছিলই। জীবজন্তু ছিল তাঁর খুব প্রিয়।
কলকাতায় জীবনধারণের জন্য অর্থের তো প্রয়োজন। তাই উপার্জনের একটা উপায় করতে চেষ্টা শুরু করলেন। কলেজের স্নেহময় অধ্যক্ষের শত চেষ্টাতেও ‘নেটিভ’বলে একটা স্থায়ী চাকরি পেলেন না। কলকাতার স্পেন্সার্স হোটেলে কিছুদিন অস্থায়ী কাজ করলেন। এসময় টুরিস্ট গাইড হিসাবেও কাজ করেছেন। হোটেলে আসা টুরিস্টদের কলকাতা ঘুরিয়ে দেখাতেন।
হাতে কিছু পয়সা হলে ঠিক করলেন কলকাতায় এভাবে জীবন কাটাবেন না। দেশ ছেড়ে যাবেন বর্মায়। সে-সময়ে বহু বাঙালির বাস ছিল বর্মায়। এক জাহাজে চড়ে তিনি রওনা দিলেন রেঙ্গুনের উদ্দেশ্যে। সেই বর্মায় যাত্রা দিয়ে শুরু হল তাঁর পরবর্তী চল্লিশ বছরের পৃথিবীভ্রমণ।
বর্মায় পৌঁছে রেঙ্গুনের ‘টাঙ্গু’ফরেস্টের টিম্বার ক্যাম্পের কেয়ারটেকার হিসাবে কিছুদিন কাজ করলেন। বেশ কিছু টাকাও জমেছিল। অতএব আবার মন ছুটল। ১৫ বছরের কিশোর সুরেশ এবার পা বাড়ালেন ইউরোপের দিকে। তাঁর এক বন্ধুকে লেখা একটি চিঠির সূত্র থেকে জানা যায়, তাঁর পরিচিত এক সহৃদয় ইউরোপিয়ান ভদ্রলোকের চেষ্টায় লন্ডনগামী এক জাহাজে চাকরি নিয়ে তিনি ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন।
ঠিক কবে তিনি সেখানে পৌঁছেছিলেন সেকথা সঠিক জানা যায় না। তবে তাঁর পরবর্তী খোঁজ পাওয়া যায় লন্ডনে, ১৯৮১-১৯৮২ সালে লন্ডনের রয়্যাল অ্যাগ্রিকালচারাল হলে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফেয়ারে।
এই মেলায় বিনোদনের জন্য এক সার্কাস পার্টি এসেছিল। খেলা দেখাবার জন্য এদের সঙ্গে ছিল অনেক পশু-পাখি, সাপ, কুমীর। আর ছিল কয়েকটি আফ্রিকান সিংহ। সার্কাসের প্রচারের বিজ্ঞাপনে দেখা গেল এক বুদ্ধিমান হিন্দু বাঙালি লায়ন টেমারের নাম, যে অন্যান্য খেলার মাঝে সিংহের খেলা দেখায়। নাম তার সুরেশ বিশ্বাস।
‘সুরেশ বিশ্বাস এমন চমকপ্রদ খেলা দেখায় যে লোকের চক্ষুস্থির হয়ে যায়। জিমনাস্টিকে তাঁর অসম্ভব দক্ষতা। তিনটে হিংস্র সিংহের খাঁচায় সে যখন ঢোকে তখন সিংহগুলো বাধ্য ছেলের মত তাঁর কথা শোনে। সে সিংহদের নিয়ে যখন দুর্ধর্ষ খেলা দেখায় তখন দর্শকেরা রুদ্ধশ্বাস হয়ে থাকে আর খেলা শেষে তুমুল হাততালিতে তাঁকে অভিনন্দন জানায়।’
খবরের কাগজ়ে এইরকম মন্তব্যই বেড়িয়েছিল। মেলায় সার্কাসের পোস্টারের ছবিতে ছিল সুরেশ সিংহের খাঁচার দরজা খুলে দর্শকদের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছেন আর পোষা সিংহেরা চালকের ইঙ্গিতমত শান্ত হয়ে খাঁচার ভিতরে বসে আছে। তাঁর পোষ মানানোর দক্ষতা আর অসাধারণ জিমনাস্টিক স্টান্ট দেখে সবাই অবাক হয়ে যেত। আফ্রিকান সিংহদের নিয়ে অবলীলায় খেলা দেখানোর দক্ষতার জন্য সবাই তাঁর নাম দিয়েছিল ‘লায়ন হান্টার’।
এইভাবে সার্কাস দলের সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতেই লায়ন-হাণ্টার, জিমনাস্ট সুরেশ বিশ্বাস ১৮৮৫ সালে পৌঁছলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে গেলেন ব্রাজিলে। ব্রাজিলের সৌন্দর্য তাঁকে এতটাই মুগ্ধ করল যে তিনি ব্রাজিলে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। সার্কাসের দল ছেড়ে দিলেন। নানা ভাষায় তাঁর দখল ছিল। সেখানকার কলেজে মাঝে মাঝে পর্তুগীজ ভাষার ক্লাস নেবার কাজ পেলেন। স্থানীয় এক ডাক্তারের মেয়েকে বিয়ে করে সেখানে থিতু হলেন।
এই সময় সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, সাহসী সুরেশ বিশ্বাসের চাকরি হল ব্রাজিলের সেনাদলে। পদমর্যাদায় কর্পোরাল। সাহসিকতা আর কর্মদক্ষতার কারণে সেনাবিভাগে তাঁর খুব দ্রুত পদোন্নতি হয়েছিল। ১৮৮৯ সালে ব্রাজিলের রাজতন্ত্র গদিচ্যুত হল, গৃহযুদ্ধ বাঁধল। ১৮৯৩ সাল, তখন সুরেশ বিশ্বাস পদমর্যাদায় লেফটেন্যান্ট। নৌবিদ্রোহ শুরু হল পরের বছর ১৮৯৪ সালে।। ‘নিটেরই’ নামক স্থানের ভয়াবহ যুদ্ধে সুরেশ বিশ্বাসের সাহসিকতা তাঁকে হিরোর মর্যাদায় ভূষিত করল।
ব্রাজিলের সামরিক অভ্যুত্থানে সেদিনের সেই যুদ্ধে বাঙলার বীর সন্তান সুরেশ বিশ্বাস দেশকালের সীমারেখা ঘুচিয়ে নিজের কর্তব্যে অবিচল থেকে প্রবল বীরত্বের সাথে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হয়েছিলেন ও জয়ী হয়েছিলেন। ব্রাজিলের মাটিতে সেই যুদ্ধক্ষেত্রে সেদিন রাতে প্রবল গোলাবর্ষণের মধ্যে ছ’ঘন্টা ধরে প্রবল লড়াই চলেছিল। সেখানে পদাতিক বাহিনীর ফার্স্ট লেফটেনান্ট হিসাবে তাঁকে বিরোধী পক্ষের কামান ও কামানের সরঞ্জাম রাখার জায়গাটি অধিকার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
ক্ষুদ্র সৈন্যদল নিয়ে এগিয়ে যাবার সময় তিনি ফাঁদে পড়ে যান। তখন তাঁকে হয় আত্মসমর্পণ নয় সাক্ষাৎ মৃত্যুবরণ-কোনো একটাকে বেছে নিতে বলা হয়। সেই মুহূর্তে তিনি নিজের সৈন্যদলকে আহ্বান করে বলেছিলেন, ‘বন্ধুগণ তোমরা দেখ, কীভাবে পবিত্র হিন্দুস্তানের সন্তান ওইসব কামানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। এসো ঝাঁপিয়ে পড়ি। ওরা দেখুক, হিন্দুস্থানের পবিত্র ভূমি থেকে আগত একজন ভারতীয় কী করতে সমর্থ!’
তারপর ব্রাজিলের সেই সমরাঙ্গনে প্রবল গোলাবর্ষণের মধ্যে বিপক্ষের সৈন্যদলের মধ্যে দিয়ে অপ্রতিহত গতিতে এগিয়ে গিয়ে তাদের অনেক কামান সেদিন দখল করে নেন তিনি। এই ঘটনায় যুদ্ধের গতি ফিরে যায়। পদমর্যাদায় লেফটেন্যান্ট হলেও ব্রাজিলের সৈন্যবাহিনী তাঁকে মহাবীরের সম্মান দিয়েছিল। সারা পৃথিবীতে একমাত্র আর্মি-কমিশনপ্রাপ্ত ভারতীয় তথা বাঙালি সুরেশ বিশ্বাস বাংলার যুবকদের মধ্যে জাতীয় উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিলেন। এই জয়ের পর থেকে কর্ণেল সুরেশ বিশ্বাস রিও-ডি-জেনেরোতে একজন অপরিহার্য মানুষ হয়ে উঠেছিলেন।
এই ঘটনার আগে পর্যন্ত ভারতে তাঁর বিষয়ে কেউ কিছু জানতে পারেনি। ১৯৮৪ সালে কলকাতায় প্রকাশিত অমৃতবাজার পত্রিকা প্রথম প্রকাশ করেছিল কর্নেল সুরেশ বিশ্বাসের বীরত্বের কাহিনী।
সেই সময় অমৃতবাজারের মত কিছু দেশপ্রেমী পত্রিকা ইউরোপের নানা সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে খবর সংগ্রহ করে তা দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিত। ১৮৯৪ সালের প্রথম দিকে অমৃতবাজার পত্রিকা এই সংবাদ প্রকাশ করে যে, একজন বাঙালি যুবক ব্রাজিলের সেনাদলের হয়ে ব্রাজিলের রণক্ষেত্রে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন।
সংবাদপত্রের দ্বিতীয় দফায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে তাঁর নাম প্রকাশিত হয়। লেখা হয়, সুরেশ বিশ্বাস যে যুদ্ধে গিয়েছিলেন সেখানে তিনি আহত বা নিহত হননি, জীবিতই আছেন। সেই সঙ্গেই পত্রিকায় তাঁর কাকাকে লেখা এক চিঠিও প্রকাশিত হয়। এ থেকেই জানা যায় জীবনে থিতু হবার পর থেকে তিনি সুদূর ভারতের গ্রামে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তাঁর সঙ্গে একমাত্র যোগসুত্র তাঁর কাকার কাছ থেকেই পরবর্তী সব খবর অমৃতবাজার পত্রিকা সংগ্রহ করে পরিবেশন করত। দেখান থেকে আমরা এই সাহসী, যাযাবর মানুষটির সম্বন্ধে অনেক কথা জানতে পারি।
গত প্রায় একশ বছর ধরে তাঁর জীবনের বিষয়ে বিশেষ কিছুই জানা যায়নি। তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশিত হয় ১৮৯৯ সালে। সেই গ্রন্থে তাঁর লেখা সাতখানি চিঠিও প্রকাশিত হয়েছিল। যা থেকে তাঁর বাড়ি থেকে পালানোর পরবর্তী জীবনের অনেক কথাই জানা যায়। এরপর তাঁকে নিয়ে বই লিখেছেন কয়েকজন। ১৯০৫ সালে তাঁর জীবনাবসান হয় রিও-ডি-জেনেরোতে। সেখানেই তাঁকে সমাহিত করা হয়েছিল। কলকাতায় তাঁর নামে একটি রাস্তা আছে, সেটির নাম কর্নেল সুরেশ বিশ্বাস সরণি।
কর্নেল বিশ্বাস সরণি ধরে একদিন হাঁটতে হাঁটতেই তাঁর বিষয়ে কৌতুহল জাগে, আর খোঁজখবর নিয়ে আর পড়াশোনা করে তাঁর বিষয়ে যা জানতে পেরেছি সেটুকু লিখে তাঁর উদ্দেশ্যে নতুন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করলাম।
উনার আত্বজীবনির নাম কি? পাওয়া যায় এখন? বাংলায় লেখা?
LikeLike